দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ কিছুদিন একটু নির্জনে থাকার জন্য অনেকেই পাহাড়ে যান। কিন্তু সেখানেও তো গড়িয়াহাটের ভিড়। মানে মূলত মূল দার্জিলিং শহরের কথা যদি বলা যায় তবে পরিস্থিতি তেমনই। এমনকী পাহাড়ে ইদানিং ট্রাফিক জ্যামও হচ্ছে। তবে এসব থেকে বাঁচতে, প্রিয়জনের সঙ্গে নিভৃতে সময় কাটাতে আপনি যেতেই পারেন দার্জিলিংয়ের অফবিট কিছু জায়গায়।
সেই অফবিট ডেস্টিনেশনের মধ্যে অন্যতম হল তোরিয়ক। চোখ বন্ধ করে একবার ভাবুন, পাহাড়ের নির্জন পথ, কাঞ্চনজঙ্ঘায় মেঘ রোদের খেলা, হালকা ঠান্ডা, আপনি প্রিয়জনের হাত ধরে হেঁটে যাচ্ছেন। সব কিছু পাবেন এখানে।
সিটংয়ে অনেকেই ছুটি কাটাতে যান। এটা হল সেই সিটংয়েরই অংশ। গোটা এলাকা ঘুরলে আপনার মনে হতেই পারে বাংলার সুইজারল্যান্ডে চলে এসেছেন। তবে এই বিশেষনটি একটু অতিরঞ্জিত মনে হলেও হোমস্টের জানালা খুলে যখন দেখবেন সামনেই কাঞ্চনজঙ্ঘা, তখন অনেক কিছুই ভুলে যাবেন। মনে হবে এই জীবনে কত কিছুই তো দেখা হল না।
কার্শিয়াং থেকে কাছেই এই সুন্দরী থাকে। শিলিগুড়ি থেকে দূরত্ব মোটামুটি ৬৮ কিমি। সরাসরি এনজেপি থেকে গাড়ি নিয়েও আসতে পারেন। তবে শেয়ার গাড়িতে দিলারাম পর্যন্ত এসে সেখান থেকেও টোরিয়াক বা তোরিয়াক আসতে পারেন।
একাধিক হোমস্টে গড়ে উঠেছে এলাকায়। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে এখানে মরসুম শুরু হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে আগাম বুক করে আসবেন। অনেকেই কমলালেবু দেখার জন্য সিটংয়ে আসেন। আর এটা সিটং ২ এর মধ্যে পড়ছে। এখান থেকে আপনি নামথিং পোখরি, বাগোরা, মংপু, চিমনিতে যেতে পারবেন।
এখানকার মূল আকর্ষণ হল এখানকার নির্জনতা, কাঞ্চনজঙ্ঘা আর পাইনের বন। প্রিয়জনের হাত ধরে নির্জন পথে হাঁটুন অনেকটা পথ। শতবার চেষ্টা করেও মনের যে কথাটা বলতে পারেননি, সেটা এই নির্জন পাহাড়ে ঠিক বলতে পারবেন।
এখানে মূলত লেপচাদের বাস। অপূর্ব তাঁদের ছবির মতো সুন্দর গ্রাম। পাহাড়ের কোলে এ এক অন্য জীবন। কাছেই আছে বুদ্ধ ফলস। সেটাও দেখে আসতে পারেন।