দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ শহুরে বাতাবরণ, কোলাহল থেকে বেড়িয়ে হাত বাড়িয়ে একটু এগিয়ে গেলেই শান্ত প্রকৃতির কোলে অবস্থিত, মায়াবী বন্ধনে আবদ্ধ পাহাড়ি গ্রাম সাংসের ও হােম স্টে কাব্য-কাদম্বরী। কালিম্পং থেকে মাত্র ১৪ কিমি দূরে, রংপাে যাওয়ার পথে সবুজ পাহাড়ে ঘেরা এক ছােট্ট পাহাড়ি হ্যামলেট সাংসের। নির্জন। সবুজ পাহাড় আর ঘন নীল আকাশের বেষ্টনীতে সাংসেরে দু-তিন দিন কাটানাে এক দারুণ অনুভূতিই বটে। এখানে আপনার সঙ্গী হতে পারে হিমালয়ের বরফ ঢাকা পাহাড় চূড়াে। তিস্তার টলটলে স্বচ্ছ হিরের মতাে জল বয়ে চলেছে পাহাড় ঘেরা এই জনপদের পাশ কাটিয়ে। নেওড়াভ্যালি ন্যাশনাল পার্কের আভ্যন্তরীণ ডেলাে পাহাড়ে ঘেরা সাংসের খাসমহল প্রকৃতির কোলে এক অনন্য অবদান।
কীভাবে যাবেন সাংসের?
নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশন থেকে ছোট গাড়ি রিজার্ভ কিংবা শেয়ার ছোট চারচাকা গাড়ি কিংবা শিলিগুড়ি জংশন থেকে কালিম্পংগামী সরকারি বাস অথবা ছোট চারচাকা গাড়ি ভাড়া করতে হবে। সরকারি বাসে গেলে খরচ হবে মাথা পিছু ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। ছোট গাড়ি ভাড়া করলে মাথাপিছু খরচ হবে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। কালিম্পং পৌঁছে কালিম্পং মোটর স্ট্যান্ড থেকে ছোট গাড়ি ভাড়া করতে হবে। কালিম্পং থেকে সাংসের গ্রামের দুরত্ব ১৪ কিলোমিটার।
কোথায় থাকবেন ?
সাংসের গ্রামে বেশ কয়েকটি ব্রিটিশ আমলের বাংলো রয়েছে, সেখানে থাকা যায়। হোমস্টের সংখ্যা কম। হোমস্টে-তে থাকলে মাথাপিছু খরচ হবে ১৫০০ টাকা। ব্রেক ফাস্ট, দুপুর ও রাতের খাবার এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।
দর্শনীয় স্থান
সাংসের গ্রামটি পাহাড়ের কোলে অবস্থিত। চারপাশে চা বাগান। পাশে রয়েছে পাহাড়ী রাস্তায় ট্রেকিং করার সুযোগ। অন্যদিকে, পাইন গাছে ঘেরা জঙ্গল। দূরপীন, ডেলো, রামিতে ভিউ পয়েন্ট, হনুমান টক ঘুরে আসা যায়। লাভা–লোলেগাও, রিশপ, কোলাখাম, ইচ্ছেগাঁও, সিলেরিগাও যাওয়া যায় সাংসের থেকে।