দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ সৈকত-তীর্থ পুরীধাম বাঙালির পরম প্রানের স্থান। যা তিরুপতির পরে ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় তীর্থস্থান। প্রতিদিন কয়েক লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়। তিরুপতির মতোই , জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডার নিয়েও আমজনতার কৌতূহলের অন্ত নেই। সম্প্রতি নতুন করে প্রকাশ্যে এসেছে সেই মন্দিরের রত্নভাণ্ডারের সম্পদের পরিমাণ। মন্দির কর্তৃপক্ষ ওড়িশা হাই কোর্টে এক হলফনামায় এই তথ্য তুলে ধরেছে। সেই সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরীর মন্দিরের রত্নভাণ্ডারে মোট সোনা রয়েছে প্রায় ১৫০ কেজি।
এই মন্দিরের রত্নভাণ্ডার শেষবার খোলা হয়েছিল ১৯৭৮ সালে। সম্প্রতি হাই কোর্টের নির্দেশে হলফনামায় মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মন্দিরে ১৫০ কেজি সোনার পাশাপাশি রয়েছে ১৮৪ কেজি রুপো। সাতের দশকের শেষেই যাবতীয় যাবতীয় অলঙ্কার গোনা হয়েছিল। হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, রত্নভাণ্ডারের তিনটি প্রকোষ্ঠ রয়েছে। একটি প্রকোষ্ঠের গয়না দৈনিক পুজোর সময় ব্যবহার করা হয়। দ্বিতীয় প্রকোষ্ঠের গয়না বিশেষ আনুষ্ঠানিকতার সময় বের করা হয়। এবং একটি প্রকোষ্ঠের গয়না কখনই ব্যবহার করা হয় না। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রত্নভাণ্ডার নিরাপদেই রয়েছে। তবে মন্দির কিছু অংশে মেরামতি চলছে। একটি ‘নাট মণ্ডপ’ নির্মাণের কাজ চলছে।
জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভান্ডার খোলার দাবি জানিয়েছিলেন পুরীর গজপতি মহারাজা দিব্যসিং দেব। এছাড়াও বেশকিছু রাজনৈতিক দল একই দাবি জানিয়েছিল। মামলা ওঠে ওড়িশা হাই কোর্টে। সেই সূত্রেই মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছে হলফনামা চায় আদালত। যার পর ১৯৭৮ সালের গণনার ভিত্তিতে রত্নভাণ্ডারের হিসেব দেওয়া হয়েছে। ১৪ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি।
প্রসঙ্গত, জুলাই মাসের শুরুতে জগন্নাথ দেবের ‘রঘুনাথ বেশ’ দেখার কথা বলেছিলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। তখনই প্রশ্ন উঠেছিল, মন্দিরের রত্নভাণ্ডার খোলা না হলে তা কী করে সম্ভব হবে? কীভাবে সাজানো হবে দেবতাকে? এখন আদালত কী নির্দেশে দেয় তা দেখার।