Life Style News

9 months ago

Exam Fear In Kids: পরীক্ষার নাম শুনলেই গায়ে জ্বর আসে সন্তানের? এই কৌশলে কাটান তার 'এক্সাম ফিয়ার'!

Exam Fear (File Picture)
Exam Fear (File Picture)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ কমবেশি সব বাচ্চাদেরই পরীক্ষা নিয়ে মনের মধ্যে এক রকমের ভীতি কাজ করে থাকে। তবে এই নিয়ে বেশি চিন্তা না করে বরং কি উপায় সেই ভীতি থেকে বাচ্চাদের দুরে রাখা যায় সেদিকে নজর দেওয়া যেতে পারে। 

*ভীতি দুর করতে কি কি করবেন? 

১. সবসময় সদর্থক কথা বলুন

পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হলেও এই নিয়ে বেশি আলোচনা করা চলবে না। বরং ছোট্ট সোনাকে আরও ভালো ফল করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে। সে যে পরেরবার পরীক্ষায় এর থেকে ভাল ফল করবেই করবে, এই সাহস তার মনে যুগিয়ে চলুন। এই কাজটা করলেই তার মধ্যে বাড়বে আত্মবিশ্বাস। আর সে অচিরেই পরীক্ষা ভীতি কাটিয়ে উঠতে পারবে। তাই সবার প্রথমে এই ট্রিকস ব্যবহার করুন।

২. স্টাডি প্ল্যান করে দিন

সন্তানের পরীক্ষা ভীতি কাটাতে চাইলে আপনাকে একটু বেশি পরিশ্রম করতেই হবে। সেক্ষেত্রে অফিসের কাজ শেষে বাড়ি ফিরে গল্পের ছলেই সন্তানকে পড়াতে পারেন। বিশেষত, তার যেখানে যেখানে দুর্বলতা রয়েছে, সেইসব জায়গাগুলোর দিকে আপনাকে বেশি নজর দিতে হবে। পারলে তার ক্লাস টিচারের সঙ্গে কথা বলে একটা স্টাডি ম্যাপ তৈরি করে নিন। ব্যস, তাহলেই সন্তানকে ঠিক পথে এগিয়ে দিতে পারবেন। 

৩. খেলতে খেলতে পরীক্ষা​

ক্লাস টেস্ট যে এমন কিছু আহামরি বিষয় নয়, তা সন্তানকে বুঝিয়ে বলতে হবে। আর এই কাজটি করতে চাইলে ছোট্টো সোনাকে বাড়িতেই খেলার ছলে একাধিক পরীক্ষা নিন। এমনকী তাকে পরীক্ষক সেজে আপনার পরীক্ষা নিতে বলুন। এভাবেই সন্তানকে পরীক্ষার সঙ্গে সড়গড় করে তুলুন। হলফ করে বলতে পারি, এই কাজটা করলেই তার পরীক্ষা ভীতি উবে যাবে। এমনকী পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাবে সন্তান।

৪. সারাদিন পড়া নয়​

অনেক বাবা-মা সারাদিন ছেলে-মেয়ের পিছনে পড়া পড়া নিয়ে লেগে থাকেন। আর এমনটা করেন বলেই ছোটদের মধ্যে ভীতি তৈরি হয়। এমনকী তাঁরা পরীক্ষার কথা শুনলেই ভয় পেতে থাকেন। তাই আর যাই করুন না কেন, এই ভুলটা করবেন না। এতে সন্তানের কনফিডেন্স আরও কমে যাবে। বরং সন্তানকে পড়ার মাঝে মাঝে ব্রেক নিতে বলুন। এমনকী তাকে বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে দিন। তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।

৫. নিজের গল্প বলুন​

আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই পরীক্ষা নিয়ে কিছু খারাপ স্মৃতি নিশ্চয়ই রয়েছে। তাই সন্তানের খারাপ সময়ে তাকে এই গল্পগুলো শোনান। তাতে তার মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়বে। সে বুঝতে পারবে যে এমন পরিস্থিতি থেকেও জীবনে অনেক বড় কিছু করা সম্ভব। তাই কারণে অকারণে মাঝে মধ্যে এইসব গল্প করতে ভুলবেন না যেন।

You might also like!