Life Style News

9 months ago

Winter care: শীতে শ্বাসকষ্টের সমস্যা! দুর করুন এই উপায়ে

Breathing problems in the winter! Remove it this way (File Picture)
Breathing problems in the winter! Remove it this way (File Picture)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ডিসেম্বরের শীতে  বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ বেশ কম।  এই আবহাওয়ায় অনেকেরই শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়। সঙ্গে যুক্ত হয় সর্দি। শিশু থেকে বয়স্ক, সব বয়সি মানুষই এ সময়ে সর্দি-কাশিতে কষ্ট পান। যাঁদের অ্যালার্জি কিংবা হাঁপানির সমস্যা রয়েছে। 

শ্বাসকষ্ট বাড়ার নেপথ্যে রয়েছে একাধিক কারণ, বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ এ সময়ে অনেকটা কমে যায়। ফলে বাড়ে ধূলিকণার পরিমাণ। সেগুলিই শ্বাসনালি ও ফুসফুসে ঢুকে শ্বাসের সমস্যা বাড়ায়। তা ছাড়া শীতে বিভিন্ন ধরনের ফুল ফোটে। ফুলের রেণুও শ্বাসনালিতে ঢুকে অ্যালার্জির সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। তাতেও শ্বাসকষ্ট বাড়ে। এই সব কিছুর সঙ্গে যুক্ত হয় জীবাণু। নিউমোনিয়া থেকে সাধারণ সর্দি, শ্বাসযন্ত্রের বিভিন্ন রোগের জীবাণু কম তাপমাত্রায় সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে সংক্রমণ বাড়ে। আর সেই সংক্রমণ থেকে হতে পারে শ্বাসকষ্ট।

সমস্যা থেকে বাঁচতে কি করবেন? 

১। কোভিডবিধি আলগা হওয়ার পর মাস্ক পরা ছেড়ে দিয়েছেন বহু মানুষ। কিন্তু এই মাস্ক কোভিড ছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরনের রোগ-জীবাণুর হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে। তাই বা়ড়ির বাইরে বেরোতে হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন। অনেকে ভাবেন, মাস্ক পরলে দমবন্ধ লাগে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই বিষয়টি কিন্তু একেবারেই মানসিক। মাস্ক পরলে আদৌ কমে না অক্সিজেনের মাত্রা।

২। পরিছন্ন রাখুন নিজের চারপাশ। শুধু বাড়ির বাইরের রাস্তাঘাট সাফ করলেই হবে না। ঘরের ভিতরও পরিষ্কার রাখা উচিত এই সময়ে। না হলে ঘরের ধুলোও শ্বাসকষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

৩। যাঁরা ধূমপান করেন, তাঁদের এই সময়ে অন্তত ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। যাঁদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে, তাঁরা যদি শীতে ধূমপান করেন, তবে ফুসফুসের উপর বাড়তি চাপ পড়ে। তা ছাড়া এক জন ধূমপান করলে পাশের জনেরও সমস্যা হতে পারে।

৪। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। শীতকালে যেমন প্রকৃতি এক দিকে কিছুটা বিরূপ হয়, তেমনই অন্য দিকে মরসুমি শাকসব্জির ডালা সাজিয়ে দেয়। সে সব বুকের রোগবালাই দূরে রাখতে পারে। বিভিন্ন ধরনের লেবু, আমলকি থেকে ব্রকোলি, পালং শাকের মতো সব্জি, শরীর চাঙ্গা রাখতে এদের জুড়ি নেই। নিয়ম করে খেতে পারেন মধু-চ্যবনপ্রাশও।

You might also like!