দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃভারত সেবাশ্রম সংঘ-রামকৃষ্ণ মিশন-ইসকনের ‘রাজনীতি’ যোগের অভিযোগে তোলপাড় ভোটের বাংলা। রাজ্যে সাধু-সন্ন্যাসীদের একাংশকে 'অপমান করা' নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক। এই নিয়ে আলাদা করে ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এই বিষয়ে মুখ খুলল রামকৃষ্ণ মিশন।
স্বামী সুবীরানন্দ স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, “রামকৃষ্ণ মিশন অরাজনৈতিক সংস্থা। স্বামীজির নির্দেশ অনুসরণ করে সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সন্ন্যাসীরা ভোটাদিকার প্রয়োগ করে না। তাঁরা কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেন না।” সংগঠনের অনুগামীদের ভোটদানকে কি প্রভাবিত করেন তাঁরা? জবাবে মিশনের সাধারণ সম্পাদক জানান, “এ বিষয়ে আমরা তাঁদের পরামর্শ দিই না, আমরা কোনও নির্দেশও দিই না। তাঁরা স্বাধীনভাবেই ভোটদান করেন।” পরিশেষে তাঁর সংযোজন, ” রামকৃষ্ণ মিশন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। তারা মানুষের জন্য কাজ করে। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য নিঃস্বার্থভাবে মানুষের সেবা করা।”
বিতর্কের সূত্রপাত নির্বাচনী প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক মন্তব্য। তিনি বলেছিলেন, “রামকৃষ্ণ মিশনকে সবাই সম্মান করে। ওদের কাছে একটা হোয়াটসঅ্য়াপ আছে, গ্রুপ। ওদের যারা মেম্বার হয় তাদের নাম, যারা দীক্ষা নেয়। রামকৃষ্ণ মিশন ভোট দেয় না কোনওদিনও। এটা আমি জানি। তাহলে আমি অন্যকে কেন ভোট দিতে বলব? কেউ কেউ ভায়োলেট করছে, সবাই নয়।” তাঁর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে জলঘোলা শুরু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মুখ খুললেন মিশনের সাধারণ সম্পাদক।