Breaking News
 
Jadavpur University Student Death: যাদবপুরে ছাত্রীর মৃত্যুতে চাঞ্চল্য, অনামিকার পরিবারের অভিযোগে খুনের মামলা রুজু! Kharagpur IIT: মাতৃভাষায় প্রযুক্তি শিক্ষা,খড়গপুর আইআইটিতে বাংলাভাষায় উচ্চশিক্ষার নতুন দিগন্ত! Jwala Gutta : মানবিকতায় উজ্জ্বল জ্বালা গুট্টা, অভাবী শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে ৩০ লিটার স্তন্যদুগ্ধ দান Calcutta high Court: অবসর নিলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম,নবতম দায়িত্বে বিচারপতি সৌমেন সেন! ISREL-IRAQ Conflict:'যুদ্ধঘোষণা' পশ্চিম এশিয়ার আরেক রাষ্ট্রনেতার, ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে ইসলামি সামরিক জোটের আহ্বান Helencha High School : ছাত্রীদের কুরুচিকর ইঙ্গিত? সহকারী প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, মাথা ফাটল মারধরে!

 

kolkata

2 hours ago

Calcutta High Court: খেজুরির জোড়া মৃত্যু রহস্যে নতুন মোড়, ফের মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশ হাই কোর্টের!

Calcutta High Court
Calcutta High Court

 

দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক:খেজুরির জোড়া রহস্যমৃত্যু মামলায় ফের মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের করা দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত রিপোর্টে দেখা গেছে, একজনের দেহে ২৪টি এবং অপরজনের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এই আঘাতগুলির ব্যাখ্যা দিতে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরকে নতুন করে একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। একইসঙ্গে গোটা রিপোর্ট নিয়ে পূর্ণাঙ্গ মতামত দিতে হবে ওই নতুন বোর্ডকে। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর এই রিপোর্ট জমা দিতে হবে বলেও জানিয়েছে হাই কোর্ট। ফলে খেজুরি জোড়া মৃত্যুর ঘটনা কোন দিকে মোড় নেয় সেদিকেই নজর সবার।

ঘটনার সূত্রপাত চলতি বছরের ১১ জুলাই। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে মৃত্যু হয় বছর তেইশের সুজিত দাস এবং ৬৫ বছর বয়সি চন্দ্র পাইকের। সুজিত পূর্ব ভাঙনমারি গ্রামের বাসিন্দা, চন্দ্র ঝাঁটিহারির বাসিন্দা। ঘটনার পর খবর পেয়ে সেদিনই মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় খেজুরি থানার পুলিশ। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়দেরও একই দাবি ছিল। তাঁরা জানান, অনুষ্ঠানস্থলের কাছে একটি হ্যালোজেন লাইট খুলে পড়ে ওই দুই ব্যক্তির উপর। তার জেরে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারান দু’জন।

তবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি ছিল, ওই ব্যক্তিদের পরিকল্পনামাফিক খুন করা হয়েছে। এমনকী মৃতদেহগুলিতে আঘাতের চিহ্ন ছিল বলেও দাবি করা হয়। এরপরেই ঘটনায় যথাযথ তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। এসএসকেএমে হয় সেই ময়নাতদন্ত। দেখা যায়, প্রথমবার এবং দ্বিতীয়বারের করা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সম্পূর্ণ আলাদা। প্রথমে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। দ্বিতীয়বারের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আঘাতের চিহ্ন আছে বলে রিপোর্ট আসে।

দু’ধরনের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ঘিরে শুরু থেকেই বিতর্ক দানা বাঁধে। এরপর সিবিআই তদন্তের দাবিতে ফের কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় মৃতদের পরিবার। তবে আদালত সেই আবেদন খারিজ করে, এবং সিআইডি-র তদন্তের উপরেই ভরসা রাখে। পরে সিঙ্গল বেঞ্চের সিআইডি তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পরিবার ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি চলাকালীন, কেস ডায়েরি ও প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তলব করে আদালত। দীর্ঘ শুনানি শেষে অবশেষে সোমবার খেজুরির জোড়া রহস্যমৃত্যু মামলায় নতুন করে মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট।


You might also like!