দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ লোকসভা ভোটপর্বের শেষ রবিবারের সকালে সিপিএমের প্রচার ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কালীঘাট চত্বর। এ দিন সকালে দক্ষিণ কলকাতার বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী সায়রা শাহ হালিমের প্রচার ছিল হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে। সঙ্গে ছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।
অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ওই চত্বরে হওয়ায় সেখানে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। সুতরাং, সেখানে প্রচার করা যাবে না। পুলিশের এই যুক্তির তীব্র বিরোধিতা করেন সিপিএম কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে শুরু হয়ে যায় বচসা, চলে ধস্তাধস্তিও। রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান সায়রা শাহ হালিম।
সিপিএমের এদিনের এই প্রচার কৌশল তৃণমূলনেত্রীর চোখেও পড়েছে। এ নিয়ে যাদবপুরের বারো ভূতের মাঠে নির্বাচনী সভায় রবিবার মমতা বলেন, ‘পৌনে দু’মাস বাইরে থাকার পর আমি সে দিন পাড়ায় ঢুকছিলাম। হঠাৎ দেখি, সিপিএম নেতারা বিজেপির দয়ায়, বিজেপির কথায়, বিজেপির টাকায় ঝুলি নিয়ে বেরিয়ে পড়েছে। বলছে, এই তো মেয়েদের বাড়িতে গিয়ে (তৃণমূল) অত্যাচার করছে। আপনারা কখনও শুনেছেন, এমন হয়েছে?’
তার সংযোজন, ‘তৃণমূল নিজেদের মধ্যে কোনও ভুল করতে পারে, কেউ কারও সঙ্গে ঝগড়া করতে পারে। কিন্তু কোনও সাধারণ মানুষকে গিয়ে বলবে, তোমার গলা কেটে নেব, তোমার মুন্ডু কেটে ফুটবল খেলব! এটা তৃণমূলের কাজ নয়। এই কাজ যে দিন কেউ করবে, আমি নিজে গলা ধাক্কা দিয়ে তাকে বের করে দেবো।’
যদিও বামেদের অভিযোগ, এ দিন তাদের প্রার্থী কোনও কর্মী ছাড়া একাই লিফলেট বিলি করতে এবং ভোটারদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, সেই অনুমতিও দেওয়া হয়নি। মীনাক্ষীর অভিযোগ, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সারা বাংলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলে থাকেন। কিন্তু তাঁর পাড়াতেই প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে।’ পুরো ঘটনার কথা জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের কর্তাদের একাধিক বার ফোন করেছিলেন তিনি। তবে, ফোন কেউ তোলেননি বলেই দাবি করেছেন মীনাক্ষী।
সায়রার বক্তব্য, ‘ভোটারদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ সেই অনুমতিও দেয়নি।’ এর আগে ওই তল্লাটে প্রচারে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। দক্ষিণ কলকাতার জেলা তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস কুমার অবশ্য বলেন, ‘ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা থাকার জন্য কোনও মিছিলই যেতে দেওয়া হয় না। অহেতুক এটা নিয়ে সিপিএম রাজনীতি করছে।’