Breaking News

 

kolkata

3 hours ago

Shantanu Thakur:এসআইআর-এর মধ্যেই CAA অস্ত্র শান্তনুর হাতে, মতুয়া ভোট নিয়ে বাড়ছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উদ্বেগ?

Shantanu Thakur
Shantanu Thakur

 

দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: জাতীয় নির্বাচন কমিশন আজই বাংলায় এসআইআর-এর দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারে। এই আবহে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জোরদার রাজনৈতিক টানাপোড়েন। মতুয়া ভোটবাক্স নিয়ে যে বঙ্গ গেরুয়া শিবির বেশ চাপে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের মন্তব্যে তা আরও পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

রবিবার মতুয়াদের আশ্বস্ত করে শান্তনু বলেন, “এসআইআর নিয়ে আপনারা বিভ্রান্তিতে আছেন। আগে নাগরিকত্বের আবেদন করুন। যাঁরা বাংলাদেশ থেকে এসেছেন, যাঁরা সশরীরে এসেছেন বাংলাদেশ থেকে, তাঁরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করুন। এসআইআরে একবারের জন্যও যদি নাম কাটা যায়, নাগরিকত্ব পাওয়ার পর আবার ভোটার তালিকায় নাম উঠবে। আপনার ভয় পাওয়ার কিছু নেই। যাঁরা ওপার থেকে আসা উদ্বাস্তু, রোহিঙ্গা বা বাংলাদেশি মুসলমান নয়, ভূতুড়ে ভোটার নয়, ওপার থেকে আসা উদ্বাস্ত যাঁরা, চটজলদি CAA আবেদন করুন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। নাগরিকত্ব পেলে আবার ভোটার কার্ড করে দেওয়া হবে। আর ভোটার কার্ড না হলে, সব আমার কাছে আসবেন, আমি করে দেব ভোটার কার্ড।”

শান্তনুর এই মন্তব্যে পালটা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “এসআইআরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হতে চলেছে মতুয়াদের, সেটা বুঝে গিয়েছেন শান্তনু ঠাকুর। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন। বলার চেষ্টা করছেন যে, এসআইআরে বাদ গেলে CAA দিয়ে ঢোকাবেন। আবার ক্যাম্প করবেন। এটা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার ব্যর্থ চেষ্টা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল পাশে আছেন। সকলে বুঝতে পারছেন, যে যে ক্রাইটিরিয়ায় বাদ দেওয়া হচ্ছে, তাতে মতুয়া সম্প্রদায়ের উপর চাপ তৈরি হবে। ওঁরা শুধু মুসলিম মুসলিম করছেন তো! অনেক হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর বিপুল আঘাত আসতে চলেছে। সবথেকে বেশি ওঁরা বুঝতে পারছেন।” রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বনগাঁ, নদিয়ার মতো জায়গাগুলিতে বিজেপির ভোটবাক্সের নেপথ্যে মতুয়ারা একটা বড় ফ্যাক্টর। এসআইআরের ফলে তাঁদের নাম বাদ গেলে ছাব্বিশের বিধানসভা ফের বড়সড় ধাক্কা খেতে হবে পদ্ম শিবিরকে। সম্ভবত সে কারণেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এমন আশ্বাসবাণী বলেই মনে করা হচ্ছে।


You might also like!