International

9 months ago

Green Fuel from Cigarette Butts: পরিবেশকে ধ্বংস নয় বরং রক্ষা করবে সিগারেট! চমকে দিলেন বিজ্ঞানীরা

Green Fuel from Cigarette Butts (Symbolic Picture)
Green Fuel from Cigarette Butts (Symbolic Picture)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ চিরাচরিত শক্তি উৎসগুলির ব্যবহার থেকে ক্রমে সরে আসছে মানুষ। জ্বালানির এমনই এক পরিষ্কার উৎস হল বায়োডিজেল। ভোজ্য ও অ-ভোজ্য তেল, পশুর চর্বি এবং রেস্তোরাঁর বর্জ্য গ্রীসের মতো জৈবিক উপাদান থেকে তৈরি হয় এই বায়োডিজেল। এটি পুনর্নবীকরণযোগ্য এবং পরিবেশ-বান্ধব। তবে, বায়োডিজেলের দাম অনেকটাই বেশি।যে কারনে  অনেকেই এর ব্যবহার থেকে বিরত থাকছে। তবে বিজ্ঞানীরা এর বিকল্প খুঁজে পেয়েছেন, এই সমস্যার সমাধান হল সিগারেট, বা আরও নির্দিষ্টভাবে বললে সিগারেটের বাট, অর্থাৎ ধূমপানের পর যে অংশটা ধূমপায়ীরা ফেলেদেন।

এতদিন, সিগারেটের বাটকে পরিবেশ দূষণকারী বলেই বিবেচনা করা হত। কিন্তু, বিজ্ঞানীদের মতে, সিগারেটের বাটই বায়োডিজেলের খরচ কমাতে সহায়ক হতে পারে। এর আগে গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, ট্রাইগ্লিসারাইড ট্রায়াসিটিনের মতো রাসায়নিক যুক্ত করলে, বায়োডিজেলের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। তবে ট্রায়াসিটিন উত্পাদন করা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। এর জন্য প্রচুর রাসায়নিক ব্যবহার করতে হয় এবং তা থেকে অত্যধিক বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থ তৈরি হয়। কিন্তু, লিথুয়ানিয়ান এনার্জি ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় লিথুয়ানিয়ার কাউনস ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির বিজ্ঞানীরা, সিগারেটের বাট ব্যবহার করে ট্রায়াসিটিন তৈরি করার এক নতুন উপায় খুঁজে পেয়েছেন।

অ্যানালিটিক্যাল অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েড পাইরোলাইসিস জার্নালে তাঁদের গবেষণা সম্পর্কে এক নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক, স্যামি ইউসেফ বলেছেন, “আমাদের গবেষণায় আমরা পুনর্ব্যবহার এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে কাজ করছি। তাই আমরা সবসময় বর্জ্য পদার্থের সন্ধান করি। সিগারেট তিনটি উপাদান দিয়ে তৈরি – তামাক, কাগজ এবং সেলুলোজ অ্যাসিটেট ফাইবার দিয়ে তৈরি একটি ফিল্টার। অনেক সংস্থাই সিগারেটের বাট সংগ্রহ করে। তাই তাদের থেকে এই বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করাটা সহজ ছিল।”

তিনি জানিয়েছেন, পাইরোলাইসিস প্রক্রিয়ায় ৬৫০, ৭০০ এবং ৭৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় তাঁরা সিগারেটের বাটগুলি তাপীয়ভাবে পচিয়েছিলেন। বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর, তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন, ৭৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৪৩ শতাংশ ট্রায়াসিটিনের এক যৌগ উৎপন্ন হয়। এই যৌগই, খরচ কমাতে বায়োডিজেলের সংযোজন হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

You might also like!