দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ শিবের মহাপ্রসাদ হল ভাং । মহাশিবরাত্রির দিন ভোলেনাথকে ভাং বা সিদ্ধি নিবেদন করা হয় । কারণ ভাং বড়ই প্রিয় মহাদেবের । কিন্তু, জানেন কি গঞ্জিকা বা ভাংকে শিবের মহাপ্রসাদ বলার পিছনে এক পৌরাণিক কাহিনি রয়েছে । মহাশিবরাত্রি উপলক্ষে সেই পুরাণ কথা একবার জেনে নেওয়া যাক ।
ভোলেনাথের সঙ্গে ভাং-এর সম্পর্ক
পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, শিব সমুদ্র মন্থনের বিষ পান করে গলায় ধারণ করেছিলেন । সেকারণে তাঁর গলা নীল । বিষ পান করার পর অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন মহাদেব । সেইসময় তাঁর চেতনা ফেরানোর জন্য শিবের মাথায় ভাং ও ধুতুরা রাখেন । সেই থেকেই ভাং-এর সঙ্গে ভোলানাথের সম্পর্ক বলে মনে করা হয় ।
বেদ অনুসারে, কথিত আছে যে সমুদ্র মন্থনের সময় মাদ্রা পর্বতে অমৃতের একটি ফোঁটা পড়েছিল । সেখান থেকেই ভাং-এর গাছ জন্মায় । সমস্ত দেবতা ওই গাছের পাতার রস পছন্দ করেছিলেন । ভোলেনাথ স্বয়ং এই গাছটিকে হিমালয়ে নিয়ে যান ।
আরও একটা গল্প রয়েছে । সংসারে পার্বতীক সঙ্গে একবার ঝামেলার জন্য বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান শিব ৷ কিছুটা দূর যাওয়ার পর তেষ্টা পায় তাঁর ৷ রাস্তায় একটা গাছের পাতা ছিঁড়ে খেয়ে নেন ৷ সেই পাতা খাওয়ার পরই তুষ্ট হন শিব ৷