দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রতি বছরের মতো এ বছর ও মহা ধূমধাম করে পুরী ধামে পালিত হচ্ছে রথযাত্রা উৎসব। আজই তিনি তার রত্নাসন ত্যাগ করে ভক্তের সঙ্গে সম্মুখ সাক্ষাতের জন্য পথে নেমেছেন। এর পর রথে চড়ে তিনি রওনা দেবেন মাসি গুন্ডিচার বাড়ি। কেবল মহাপ্রভুই নন সঙ্গে যাচ্ছেন তার দুই ভাই ও বোন বলরাম ও সুভদ্রাও।
প্রসঙ্গত, এই রথযাত্রা ঘিরেই রয়েছে একাধিক কথকতা। যা শিশুমন থেকে প্রাপ্ত বয়স্কর হৃদয়কে বারে বারে আলোড়িত করে তোলে। মন্দিরের না না কথা, জগন্নাথের না না সেবা প্রক্রিয়া থেকে না না প্রকার আচার অনুষ্ঠান সবই অতিব রোমাঞ্চ্যকর। সারা বছরের নানাবিধ তিথি ও বিশেষ দিন গুলিতে তো বটেই রথের সময়ও জগন্নাথের পুজো থেকে শুরু করে ভোগ-উপাচার, একাধিক ক্ষেত্রেই মানা হয় নানাবিধ নিয়ম। রথযাত্রার সাতদিনব্যাপী, একাধিক নিয়মে জগন্নাথ সেবার সঙ্গেই ৫৬ রকমের ভোগ নিবেদন করা হয়, জগন্নাথকে। একই সঙ্গে রথযাত্রা আবহে প্রায় একই রকমের ভোগ পান বলরাম, সুভদ্রাও। সকাল, দুপুর, রাত- একাধিক প্রহরে রকমারি পদের খাবার নিবেদন করা হয় পুরীর জগন্নাথদেবকে।
কী কী পদ থাকে ওই ৫৬ ভোগে? জগন্নাথের ভোগে থাকে কণিকা অর্থাৎ সুগন্ধী ভাত, আমালু অর্থাৎ মিষ্টি লুচি, টাটা খিচুড়ি অর্থাৎ শুকনো খিচুড়ি, অন্ন, ঘি-ভাত, ডাল, দই, উকখুড়া অর্থাৎ মুড়ি, মনোহরা মিষ্টি, মাগাজা লাড্ডু, নাড়িয়া কোড়া অর্থাৎ নারকেল নাড়ু, পানা, বিসার অর্থাৎ সবজি, খুয়া অর্থাৎ খোয়া ক্ষীর, মাহুর অর্থাৎ লাবরা, সাগা নাড়িয়া, পাচিলা কাঁদালি অর্থাৎ টুকরো টুকরো কলা, পুলি পিঠে। এছাড়াও থাকে একাধিক কেকের পদ। মেন্ধা মুন্ডিয়া , বড়া কান্তি অর্থাৎ বড় কেক, হামসা কেলি অর্থাৎ মিষ্টি কেক, ঝিলি অর্থাৎ এক ধরণের প্যান কেক, এন্ডুরি অর্থাৎ নারকেল দিয়ে তৈরি কেক। এই ৫৬ ভোগের মধ্যে গুরুত্ব পায়, আদা দিয়ে তৈরি চাটনি, লঙ্কার লাড্ডু, কছোট্ট পিঠে, দুধ তৈরি মিষ্টি, আরিশা অর্থাৎ ভাত দিয়ে তৈরি মিষ্টি, বোঁদে, মনোহার মিষ্টি, ভাগ পিঠে, গোটাই অর্থাৎ নিমকি, পদ্ম কানজি অর্থাৎ চাল দিয়ে বিশেষ মিষ্টি-সহ একাধিক পদ। সঙ্কুড়ি, সুখিলা আর নির্মাল্য। সব মিলিয়ে ৫৬ প্রকার ভোগ নিবেদিত হয় জগন্নাথকে।