দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ মেডিটেশনের উপকারিতা নিয়ে বলতে বসলে তার একটা লম্বা তালিকা তৈরি হবে৷ খুব ছোট করে বললে বলতে হয়, শরীরে একটা শান্ত ভাব নিয়ে আসে, কাজের প্রতি একাগ্রতা তৈরি হয়, মনের অস্থিরতা কমায়, ফলে কোনও বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হয়, ধৈর্য ও আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলে৷ তাই এই ব্যস্ত জীবনে এবং প্রতিযোগিতার দুনিয়ায় এগুলো কম কি৷ তবে অনেকেই মেডিটেশন বেশি দিন চালিয়ে যেতে পারেন না৷ কারণ মেডিটেশনের পদ্ধতি খুবই একঘেয়ে৷
চোখ বুজে, ধ্যানাসনে বসে, কত কাহাতক আর বসে থাকা যায়৷ তবে এটা ঠিক যে মেডিটেশন কিন্ত্ত একদিনে সম্ভব হয় না৷ নিয়মিত অভ্যাস প্রয়োজন৷ তাই রোজ ধৈর্য ধরে অভ্যাস করলে তবেই মিলবে আকাঙ্ক্ষিত ফল৷ তবে মেডিটেশন যাতে একঘেয়ে না লাগে, তার জন্য কয়েকটা কথা শুনে রাখুন৷ প্রথমত একটা নির্দিষ্ট জায়গায় রোজ মেডিটেশন করতে হবে, তার কোনও মানে নেই৷ যেখানে খুশি যখন খুশি মেডিটেশন করতে পারেন৷ তাছাড়া চোখ বন্ধ করে মেডিটেশন করতে হবে তার কোনও মানে নেই৷ চোখ খোলা রেখেও করা যেতে পারে৷ তবে মেডিটেশনের সময় চোখ বোজা থাকলে তাতে, মনঃসংযোগ করতে সুবিধা হয় বৈকি৷ মেডিটেশনের নানা প্রকার আছে৷ অনেক কাজের মধ্যে দিয়েও মেডিটেশন করা যেতে পারে৷ যেমন নিঃশ্বাস প্রশ্বাস নেওয়ার সময় সচেতন ভাবে তা খেয়াল করুন৷ খাওয়ার সময় কী খাচ্ছেন সেই সম্পর্কে সচেতন হয়ে খাওয়া দাওয়া করুন৷ যেমন খাবার ধীরে ধীরে খান৷ প্রতিটা গ্রাস উপভোগ করুন ইত্যাদি৷
যখন কোনও কাজ করবেন, তখন যাতে তা একমনে করতে পারেন এবং সময়ে শেষ করতে পারেন তার চেষ্টা করুন৷ প্রয়োজনে নিজেকে চ্যালেঞ্জ করুন৷ এইভাবে ছোট ছোট কাজে মনঃসংযোগের আনন্দ খুঁজে নিন৷ যদি এক জায়গায় বসে মনঃসংযোগ করা আপনার ধাতে না থাকে, তাহলে শান্ত জন কোলাহল হীন কোনও জায়গায় হাঁটুন৷ শরীরের নার্ভগুলো তাতে শান্ত হবে৷ প্রথম প্রথম আপনি সঠিক পদ্ধতিতে মনঃসংযোগ করতে পারছেন কিনা, তাই নিয়ে চিন্তা করবেন না৷ শুধু নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের দিকে নজর রাখুন ও চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণে আনুন৷ পশ্চারের দিকেও খেয়াল রাখুন৷ মেডিটেশন করার আগে একটু স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ করে নিতে পারেন৷ তাতে মেডিটেট করতে সুবিধা হবে৷ এইভাবে মেডিটেশনকে রোজকার রুটিন করে ফেলুন!