Breaking News
 
Mamata Banerjee-Omar Abdullah: বঙ্গসফরে জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা, মমতার সঙ্গে বৈঠকে রাজনৈতিক বার্তা! Tirumala Tirupati Temple: ধর্মীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ নাকি খ্রিস্টধর্মের প্রচার? তিরুপতি মন্দিরের আধিকারিক সাসপেন্ড, উঠছে ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রশ্ন! Alia Bhatt: পরিকল্পিতভাবে ৭৭ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ! আলিয়ার কোটি টাকার প্রতারণা কাণ্ডে গ্রেফতার ঘনিষ্ঠ সহকারী SSC Scam: নতুন এসএসসি নিয়োগে আপত্তি, ডিভিশন বেঞ্চে গেলেন চাকরিপ্রার্থী একাংশ NRC notice to West Bengal resident: “এনআরসি চাপাতে চাইছে বিজেপি” — দিনহাটায় বিস্ফোরক মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর Shamik Bhattacharya: মুখ্যমন্ত্রী পদে বিজেপির মুখ কে?শমীকের উত্তর ঘুরপাক খেল দলীয় সিদ্ধান্তে!

 

Health

6 months ago

Raisin Benefit: খাদ্যতালিকায় কিশমিশ রাখা স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী,জেনে নিন উপকারগুলি!

Raisins (Symbolic picture)
Raisins (Symbolic picture)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: শুকনো আঙুর থেকে তৈরি হওয়া কিশমিশ শুধু সুস্বাদুই নয়, বরং একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানে ভরপুর এটি। কিশমিশে  শর্করা, ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। পায়েশ, পোলাও, ফিরনি সহ নানান মিষ্টি সুস্বাদু করবার জন্য কিশমিশের ব্যবহার অনবদ্য।

ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি-৬, খনিজ উপাদান পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস সমৃদ্ধ এই  কিশমিশ আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তি ও পুষ্টি সরবরাহ করে। প্রতি ১০০ গ্রাম কিশমিশে শর্করা থাকে প্রায় ৭৯ গ্রাম, ফাইবার ৩.৭ গ্রাম এবং ফ্যাট মাত্র ০.৫ গ্রাম। এছাড়াও কিশমিশে রয়েছে পলিফেনলস, ফ্ল্যাভোনয়েডস, ট্যানিন ও ক্যাটেচিনস নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। 

খাদ্যতালিকায় কিশমিশ রাখার কারণগুলি নিম্নে উল্লেখিত হলঃ

১। শক্তি প্রদান করেঃ  কিশমিশে থাকা শর্করা শরীরে দ্রুত শক্তি প্রদান করে। এটি আপনার শরীরের কোষকে সজীব রাখে এবং দীর্ঘ সময় ধরে সক্রিয় থাকতে সহায়তা করে। বিশেষ করে ব্যায়ামের পর ক্লান্তি দূর করতে কিশমিশ বেশ সহায়ক।

২। পুষ্টির ভাণ্ডারঃ  এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি শক্তি বাড়ায় এবং সারাদিন আমাদের প্রোডাক্টিভ রাখতে সহায়ক।

৩। হার্ট সুস্থ রাখেঃ পটাসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হার্টের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। নিয়মিত কিশমিশ খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে।

৪। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ  কিশমিশে প্রচুর ফাইবার থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে এবং হজম প্রক্রিয়া সহজ করে। এটি পেটের গ্যাস, অম্বল ও হজম সমস্যা কমায়।

৫। মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ কিশমিশের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ওলেনোলিক অ্যাসিড মুখের ভেতরে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে। এটি দাঁতের প্লাক জমা প্রতিরোধ করে, মাড়ির ইনফেকশন প্রতিরোধ করে এবং দাঁতের ক্ষয় রোধ করে। কিশমিশ খেলে মুখের বাজে গন্ধ দূর হয় এবং মুখের ভেতর সজীবতা বজায় থাকে।

৬। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ  এতে পটাসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে কিশমিশ খাওয়ার মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। পটাসিয়াম রক্তনালীর সংকোচন কমাতে সাহায্য করে, ফলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে।

৭। ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ কিশমিশে থাকা ফাইবার ও শর্করা ক্ষুধা কমায় এবং দীর্ঘ সময় পর্যন্ত পেট ভরা রাখে। এটি অতিরিক্ত খাওয়া এড়াতে সাহায্য করে, ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। তাই স্ন্যাকস হিসেবে কিশমিশ খেতে পারেন।

৮। ত্বক ও চুলের যত্নে কার্যকরীঃ এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকে সহজে বার্ধক্যের ছাপ আসতে দেয় না। এটি ত্বককে উজ্জ্বল করে এবং চুলকে মজবুত রাখে।

৯। রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করেঃ কিশমিশে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান শরীরের প্রদাহ কমায় এবং বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগ, যেমন ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এটি কোষের ক্ষতি রোধ করে এবং শরীরকে শিথিল ও সজীব রাখে।

১০। হাড় মজবুত করে ও রক্ত স্বল্পতা প্রতিরোধ করেঃ এতে থাকা ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করে। নিয়মিত কিশমিশ খেলে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমে। এছাড়া, কিশমিশে থাকা আয়রন শরীরের হিমোগ্লোবিন উৎপাদন বাড়ায়, যা রক্তশূন্যতা দূর করতে সহায়ক।

মনে রাখবেন, অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন হলে কিশমিশ অবশ্যই বাদ দেবেন। কিশমিশ খাওয়ার সময় পরিমাণের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে, কারণ এতে শর্করার পরিমাণ বেশি।  ডায়াবেটিক রোগীরা এটি অল্প পরিমাণে খাবেন।

You might also like!