Health

11 hours ago

Amla Water: আয়ুর্বেদিক স্বাস্থ্যে আমলকির জল কতটা কার্যকরী? জেনে নিন!

Amla Water (Symbolic picture)
Amla Water (Symbolic picture)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসাবে আমলকির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন সি যুক্ত আমলকি মানবদেহের জন্য ভীষণ উপকারি। পেয়ারা,আপেল, টম্যাটো সহ আরও নানান  ভিটামিন সি যুক্ত ফল আমরা গ্রহণ করি ঠিকই কিন্তু এই ফল ভিটামিন সি তে ভরপুর। আমাদের চিকিৎসার জন্য আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি ভীষণ ভালো। আর এই  আমলকি মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং সুস্বাস্থ্য গঠনে সহায়তা করে। আয়ুর্বেদিক পন্থায় ভালো থাকার ঔষধ হিসাবে রোজ সকালে খালি পেটে  আমলকির জল খেতে বলা হয়। 

এবার আমরা জেনে নিই,  আমলকির জল  কীভাবে খাবেন? 

আমলকির জল কিন্তু আমলকির রস নয়। আমলকির জল বানানো হয় আমলকিকে জলে ফুটিয়ে। ১ টি মাঝারি মাপের কাঁচা আমলকি কেটে ১-২ কাপ জলে ফুটিয়ে তার পরে আরও ১০-১৫ মিনিট পর্যন্ত মৃদু আঁচে রেখে জলের রং সোনালি অথবা হালকা বাদামি হলে ছেঁকে নিয়ে ঠান্ডা করে মজুত করা হয়। ওই জল রোজ সকালে খালি পেটে আধ কাপ করে খেতে বলা হয় আয়ুর্বেদে। অনেকে তাতে লেবুর রস এবং মধুও মেশাতে বলেন।

আয়ুর্বেদে আমলকির গুণে চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।আমলকির জল খেলে হজমশক্তির উপকার হয়। এমনকি, রেচন ক্রিয়া বা শরীরকে বর্জ্যমুক্ত করার ক্ষেত্রেও উপকারে আসে। এ ছাড়া আমলকি অস্থিসন্ধির ব্যথা, রক্তে শর্করার মাত্রা, কোলেস্টেরল, এমনকি, ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক বলে মনে করা হয় আয়ুর্বেদে। আমলকি কোলেস্টেরল, গাঁটের ব্যথা, রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে উপযোগী হতে পারে। এমনকি, আমলকিতে থাকা ভিটামিন সি ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকিও কমাতে পারে। প্যাংক্রিয়াটাইটিসের ঝুঁকিও কমাতে পারে।

নিম্নে উল্লেখিত হল আমলকির গুণাবলিঃ 

১) ভিটামিন সি:আমলকিতে থাকা ভিটামিন সি গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাবৃদ্ধির পাশাপাশি ‘ফ্রি র‌্যাডিকালস’থেকে হওয়া ক্ষতি রোধ করে। ফ্রি র‌্যাডিকালস হল শরীরে থাকা কিছু বিষাক্ত কণা, যার পরিমাণ শরীরে বেড়ে গেলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়ে। আর শরীরের অধিকাংশ সমস্যার মূলে থাকে ওই অক্সিডেটিভ স্ট্রেস।

২) হজমে সহায়ক: আয়ুর্বেদে হজমশক্তি বৃদ্ধিতে আমলকির গুণের কথা বলা হয়েছে। অগ্ন্যাশয়কে ভাল রাখার কথা বলা হয়েছে আধুনিক বিজ্ঞানে। পুষ্টিবিদও বলছেন, সকালে খালি পেটে আমলকির জল খেলে পেটফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয় না। হজমেও সাহায্য করে।

৩) শর্করা নিয়ন্ত্রণ: আমাদের উল্টোপাল্টা খাওয়াদাওয়ার একটা বড় কারণ রক্তে শর্করার আচমকা উত্থান। খালি পেটে আমলকির জল খেলে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৪) ত্বকের স্বাস্থ্য: আমলকি কোলাজেন উৎপাদনে সহায়ক। ফলে বয়সের সঙ্গে কোলাজেন উৎপাদন কমে যাওয়ায় ত্বকে বলিরেখা পড়ার যে সমস্যা দেখা যায়, তার সমাধান করতে পারে আমলকি। এ ছাড়া নিয়মিত আমলকির জল খেলে ত্বকের রংও দেখায় উজ্জ্বল।

আমলকির জল খাওয়ার বদলে কাঁচা আমলকিও খেতে পারেন। তবে নিয়মিত আমলকি খেলে তা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন। 

You might also like!