দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- কথায় বলে, সবুজ শাকে লুকিয়ে থাকে সুস্বাস্থ্যকর সব গুণাবলি। স্বাস্থ্যে পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন সহ নানা উপাদানের মাত্রা সমান রাখতে শাকের ওপরই ভরসা রাখেন চিকিৎসকেরাও। এবার সেই শাকে হয়ে উঠেছে রোগের বাসা। সম্প্রতি এমনই এক তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন বিশেষজ্ঞরা।
পালংশাক, পুঁইশাক, বাঁধাকপি, মেথিশাক, লালশাক, কলমিশাক, কচুশাক, পাটশাকের মধ্যে উপস্থিত ভিটামিন-এ, ডি, ই, সি, বিটা ক্যারোটিনয়েড, কোলেট, ভিটামিন বি-১, বি-২, বি-৩, বি-৫, এবং বি-৬ ভালো পরিমাণে থাকে। লুটেন, জিয়াস্যানথিন এবং ক্রিপ্টোজেনথিন হার্ট ও চোখের জন্য খুবই ভালো।
বর্ষাকালে সেই সমস্ত শাকপাতাই নানা রোগজীবাণুদের মূল আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠে। জলাজমিগুলোতে শাকপাতা জলের মধ্যে ডুবে থাকে, এখানেই বিপত্তি। এতে বিভিন্ন ব্যাকটিরিয়া (ইকোলাই, সালমুনেল্লা, সিউডোমোনাস, জ্যান্থমেনাস), অনেকরকম ছত্রাক (অ্যাসপারগিলাস, ক্ল্যালোডসপরিয়াম) শাকের মধ্যে বাসা বাঁধে। ফলে বেশি শাক খেলে বমি, পেটেব্যথা ডায়েরিয়ার শিকার হন বহু মানুষ। বর্ষাকালে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি এই ধরনের সংক্রমণের।
IBS এর রোগীদের Low Residue বা Low Fodmap Diet দেওয়া হলে সেখান থেকে শাকপাতা বর্জন করাই শ্রেয়। অনেক সময় শর্টচেন ফ্যাটি অ্যাসিড বিশেষত বিউটারেটের উপস্থিতিতে বিভিন্ন গ্যাসের আদানপ্রদানের জন্য পেটে ব্যথা বা কোষ্ঠতারল্য হতে পারে।রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে শাক, ডাঁটা এড়িয়ে চলতে হবে। যে সমস্ত ১০০ গ্রাম শাকে ২০০ মিলিগ্রাম পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে সেগুলো কিডনির রোগী, হাইপার ক্যালেমিক রোগীদের স্বাস্থ্যের পক্ষে উপযুক্ত নয়।