দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ একটি জটিল অসুখ আইবিএস। মস্তিষ্কের সঙ্গে যে রোগের সরাসরি যোগ রয়েছে। এই অসুখে আক্রান্ত রোগীর দুশ্চিন্তা হলেই মলত্যাগের বেগ চাপে। এমনকী শুরু হয়ে যায় পেট গুড়গুড়, পেট ব্যথা। তাই এই অসুখ নিয়ে বারবার সাবধান হওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। নইলে যে একদিনে বারবার টয়লেট দর্শন ‘কনফার্ম’।
১. দুধ খেলেই ফাঁসবেন
আইবিএস রোগীদের অনেকেরই দুধ সহ্য হয় না। কারণ এই পানীয়ে রয়েছে ল্যাকটোজ নামক একটি উপাদান যা কিনা সহজে হজম হতে চায় না। আর সেই সুবাদেই গ্যাস-অ্যাসিডিটির মতো সমস্যার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। এমনকী পিছু নিতে পারে বমি, ডায়ারিয়ার মতো সমস্যা। তাই এই রোগে ভুক্তভোগীরা একটু বুঝেসুঝে দুধ খাবেন। তবে আপনারা চাইলে অনায়াসে দই খেতে পারেন। তাতে হাতেনাতে পাবেন উপকার।
২. হাই ফ্রুকটোজ ফল খাওয়া চলবে না
আমাদের পরিচিত অনেক ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফ্রুকটোজ। আর এই উপাদান অনেক আইবিএস রোগীর সহ্য হয় না। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে আপেল, ন্যাশপাতির মতো ফল একটু কম খেতে হবে। নইলে আবার গ্যাস, অ্যাসিডিটির প্রকোপ বাড়তে পারে। তবে আপনারা চাইলে লেবু, বেরি এবং কলার মতো ফলে কামড় বসাতেই পারেন। তাতে যেমন পেটের সমস্যা দূর হয়ে যাবে, ঠিক তেমনই দেহে পুষ্টির ঘাটতিও থাকবে না।
৩. কফি খেলেই চিত্তির
সারা পৃথিবীর অসংখ্য মানুষ কফির নেশায় পাগল। তাই তো গোটা বিশ্বেই এই পানীয়ের এতটা জনপ্রিয়তা। তবে খারাপ খবর হল, আইবিএস রোগীদের জন্য কফি তেমন একটা উপাদেয় পানীয় নয়। কারণ এই পানীয়ে মজুত থাকে ক্যাফিন নামক উপাদান যা কিনা আইবিএস-এ ডায়ারিয়ার কারণ হতে পারে। তাই এই রোগে ভুক্তভোগীরা কফি খাওয়ার আগে সাবধান হন।
৪. বিপদের অপর নাম কোল্ড ড্রিংকস
গ্রীষ্ম প্রধান দেশে কোল্ড ড্রিংকস পছন্দ করেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তবে মুশকিল হল, এহেন লোভনীয় একটি পানীয় কিন্তু আইবিএস রোগীদের জন্য একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। বরং এই পানীয়ের গ্লাসে চুমুক দিলে আদতে গ্যাস-অ্যাসিডিটির প্রকোপ বাড়বে। তাই আপনারা কোল্ড ড্রিংকস যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।
ঠিক একইভাবে আইবিএস-এ মিষ্টি খাওয়ার লোভও সামলে চলতে হবে। নইলে ডায়ারিয়া, গ্যাস-অ্যাসিডিটি থেকে শুরু করে একাধিক জটিল সমস্যার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়বে বৈকি!
৫. ফাস্টফুড কম খেলেই সুস্থ থাকবেন
বিরিয়ানি, রোল, চাউমিনের মতো খাবারে এমন কিছু মশলা থাকে যা কিনা আইবিএস রোগীদের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই সুস্থ থাকার ইচ্ছে থাকলে ফাস্টফুড যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। তবে আপনারা চাইলে মাসে এক-আধবার বাড়িতে এইসব খাবার বানিয়ে খেতেই পারেন। তাতেই আপনার সুস্থ থাকার পথ প্রশস্থ হবে।