দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ আমাদের চারপাশে এমন অনেক উদ্ভিদই রয়েছে যাদের গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পারলে অবাক হতে হয়। আর সেই সমস্ত উদ্ভিজ্জ্য উপাদানের মধ্যে শুষনি অন্যতম। এই শাকের মধ্যেই আসলে রয়েছে হাজারো রোগ নিরাময়ের জাদুমন্ত্র। আসুন জেনে নেওয়া যাকঃ
শুষনি শাকের উপকারিতা
স্মৃতিশক্তি বাড়ায় - স্মৃতিশক্তি আমাদের স্নায়ুকোশের স্বাস্থ্য়ের উপর নির্ভর করে। এগুলি কোশগুলিকে ভাল রাখে শুষনি শাক। এভাবেই স্মৃতি ধরে রাখার ক্ষমতা বাড়ায় শুষনি শাক।
স্ট্রেস কমায় - অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে বিভিন্ন ক্রনিক রোগ হতে পারে। এই তালিকায় রয়েছে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগগুলিও। স্ট্রেস থেকে মুক্তি দেয় শুষনি শাকের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
দুশ্চিন্তা কমায় - দুশ্চিন্তা বা অ্যাংজাইটি একটি মানসিক রোগ। স্ট্রেস থেকে এই সমস্যা বেড়ে যায়। এর হাত থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে শুষনি শাক।
অনিদ্রা দূর করে - ইনসোমনিয়াতে অনেকেই ভোগেন আজকাল। স্ট্রেস তার অন্যতম কারণ। এই সমস্যার সুরাহা পেতে পাতে রাখতে পারেন শুষনি শাক।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় - এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
শ্বাসকষ্টে রেহাই - শুষনি শাক সিদ্ধ করে জল ফেলে দেবেন না। বরং এই জল নিয়মিত সেবন করলে শ্বাসকষ্ট থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
উচ্চ রক্তচাপ কমায় - শুষনি শাক বাটা খেলে উচ্চ রক্তচাপ মাথা চাড়া দিতে পারে না। এর মধ্যে অল্প চিনি মিশিয়ে নিতে পারেন চাইলে।
ত্বকের সমস্যা কমায় - ত্বকের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে শুষনি শাক। সোরিয়াসিস, একজিমা নিয়ন্ত্রণে রাখে শুষনি শাক।
হজমের শক্তি বাড়ায় - শুষনি শাক মানেই ফাইবারে ভরপুর একটি খাবার। আর এই ফাইবার আমাদের কোলনের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। খাবার হজম করতে সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় - কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে বাঁচায় শুষনি শাক। শাকের ফাইবার বাওয়েল মুভমেন্ট সঠিক রাখে।
মাইগ্রেনের উপশম - মাইগ্রেনে স্নায়ুকোশগুলির মধ্যে প্রদাহ হয়। এই প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে শুষনি শাকের পুষ্টিগুণ।
শুষনি শাকে কী সমস্যা হতে পারে ?
বেশি খেলে ডায়রিয়া বা পেট খারাপ হতে পারে।
বমি বা মাথাঘোরার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে বুঝেশুনে খাওয়া ভাল।