দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: শীতের মরশুম মানেই সবজির রমরমা। বাজারে নজর কাড়ছে থরে থরে সাজানো শীতকালীন সবজি। এর মধ্যে মানব স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সবজির মধ্যে গাজর উল্লখযোগ্য। গাজর বিটাক্যারোটিন, ফাইবার, ভিটামিন কে, পটাশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। শরীরের শক্তির অন্যতম উৎস এই গাজর। ওজন হ্রাস করতে গাজরের ভূমিকা অনবদ্য।
জেনে নিন মানবদেহে গাজরের উপকারিতা -
১) ডায়াবেটিসেও গাজর উপকারী। এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সাইটোকেমিক্যাল, যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। গাজর খেতে মিষ্টি হলেও এতে সুগারের মাত্রা খুবই কম। তাই ডায়াবেটিস থাকলে নিশ্চিন্তে খান গাজর। এই শীতে তাহলে ডেজার্টের জন্য একটু গাজরের হালুয়া রাখতেই পারেন।
২) শীতকালে ঠান্ডা লাগার সমস্যা, সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পেতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো উচিত। তার জন্য প্রয়োজন ইমিউনিটি। গাজরের ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়াও গাজরে থাকে লাইকোপেন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
৩) দৃষ্টিশক্তি ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের তথ্য বলছে, শিশুর দৃষ্টিশক্তি কমার পিছনে দায়ী ভিটামিন এ-র অভাব। এই ভিটামিনের অভাবে রাতে দেখতে না পাওয়ার সমস্যাও হয়। গাজর ভিটামিন এ-র সবচেয়ে ভালো উৎস। ফলে শিশুর ডায়েটে এই সবজি অবশ্যই রাখবেন।
৪) গাজর ওজন কমায়। কমলা রঙের এই সবজি খেলে তৃপ্ত হয় মন। যা বেশি খাবার খাওয়ার ইচ্ছাকে নিয়ন্ত্রণ করে। শরীরে ক্যালোরি কম মাত্রায় দ্রবীভূত হয়। ওজন কমানোর ডায়েটে তাই গাজর মাস্ট।
৫) কুচি কুচি করে কাটা হাফকাপ গাজরে থাকে ১.৮ গ্রাম ফাইবার ও ২০৫ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম। রক্তচাপ কমাতেও হার্ট ভালো রাখতে সোডিয়াম কম কিন্তু পটাশিয়াম ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে। এই নিউট্রেন্টের ব্যালান্স সোর্স হল গাজর।
৬) গাজরে উপস্থিত বিটা ক্যারোটিন ফুসফুস ক্যানসার প্রতিরোধ করে। ধূমপায়ীরা বেশি গাজর খেয়ে ফুসফুস,কোলন ক্যানসার এড়ান।
আপনার খাদ্যতালিকায় শীতকালীন সবজির মধ্যে গাজর অবশ্যই রাখুন। প্রতিদিনের খাদ্যভাসে গাজর খাওয়ার অভ্যাস করুন। ভালো থাকুন,সুস্থ থাকুন।