Festival and celebrations

1 year ago

Bagbazar Sarbojonin Durgotsav: নেবুবাগান থেকে বাগবাজার সার্বজনীন! নেপথ্যের ইতিহাস জানুন

Bagbazar Sarbojonin Durgotsav
Bagbazar Sarbojonin Durgotsav

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ঐতিহ্য ও বনেদিয়ানার সংমিশ্রণে সাজানো উত্তর কলকাতা। দুর্গা পুজো যত এগিয়ে আসে ততই উত্তরের দিকে মানুষের প্রাণ ছুটে যায়। উত্তর বলতে উত্তর কলকাতার কথা বলা হচ্ছে। আর পুজোর সময় উত্তরের পুজোর কথা বলতে বসলেই সবার আগে উঠে আসে বাগবাজার সার্বজনীনের দুর্গা পুজোর কথা। চারিদিকে থিমের দৌড়ে এই পুজো যেন একেবারেই ভিন্ন। আজও ভিন্ন একচালা সাবেকি মাতৃ প্রতিমা। যে প্রতিমার দিকে তাকালেই আজও শিহরিত হয় কেউ কেউ। আবার অনেকে বলেন এই ঠাকুর পুজোয় অন্তত একবার না দেখলে পুজোই ইনকমপ্লিট। 

 

তবে কি ছিল এই পুজোর নেপথ্য কথা? তা জানতে হলে চোখ রাখতে হবে অতীতে। সময়টা বিশ শতক, গোঁড়ার উত্তর কলকাতায় তখন দুর্গা পুজো করতেন মূলত উচ্চবিত্ত শ্রেণী বা পয়সাওয়ালা বাবুরা। এই পুজোতে পুজোর থেকেও বেশি যেটা হত সেটা হল আড়ম্বর দেখানোর রমরমা। একবার পুজোর ক’টা দিন ধনীর ঘরে গরিব মানুষকে খাওয়ানোয় যত না সেবার মিষ্টি, তার চেয়ে ঢের বেশি অহমিকা আর হামবড়াইয়ের ঝাল। এমনই এক বাবুর পুজোয় একবার প্রসাদ না পেয়েই ফিরে গেলেন কিছু মানুষ। তারপর থেকেই সবাই মিলে ঠিক করা হল এমন এক পুজো করতে হবে যেখানে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। যে পুজো হবে এক জাতিধর্ম ও ধর্ম নির্বিশেষে এক সাম্প্রদায়িক উৎসব। ১৯১৮ সালের এই ভাবনা রূপ পেল ১৯১৯ এ। উত্তর কলকাতার লেবুবাগানে শুরু হল এই পুজো। তাঁর এর নাম হল 'লেবুবাগান বারোয়ারী'। তারপর ১৯২৬ এ এই পুজো 'বাগবাজার সর্বজনীন দুর্গোৎসব' রূপে গড়ে উঠল উত্তর কলকাতার বুকে। 

সলিসিটর দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে ঘটল পুজোর রেজিস্ট্রেশন। এই পুজোয় প্রদর্শনীর ক্ষেত্রেও তাঁর ভূমিকা। তখন দেশে স্বদেশি শিল্পের জোয়ার। দেশ জুড়ে স্বদেশি শিল্পের লক্ষে চলছে কাজকর্ম। পুজোর পাশাপাশি এই পুজো আসলে সেই স্বদেশি বার্তাই বহন করে। 

 

You might also like!