দুরন্ত বার্তা
ডিজিটাল ডেস্কঃ- কোথাও শ্যামা, কোথাও শ্মশানকালী, কোথাও আবার ভবতারিনি, নানা রূপে নানা
প্রান্তে পুজিতা হন মা কালী। তেমনি এক বিখাত কালীপুজো হল ঝাড়গ্রাম জেলার বেলিয়াবেরা
আন্ধারিয়া গ্রামের পুজো। পুজোর দিন সীমান্ত বাংলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী ঝাড়খন্ড এবং
ওড়িশার ভক্তদের সমাগম হয়। আন্ধারিয়া গ্রাম এর পানিগ্রাহী পরিবারের বয়স্ক কর্তা
বিনোদ পানিগ্রাহী এবং তার দুই ছেলের শিব শংকর এবং কালিশংকর মিলে এই দেবীর পূজা পাঠ
করেন।
প্রবীণ পুরোহিত
বলছেন, সুবর্ণরেখা নদীর জলে স্নান করতে গিয়েছিলেন তিনি। আর সেই সময়েই দেবীর এই মূর্তি
পান। এরপরে স্বপ্নাদেশে দেবী দেখা দেন। মাটির কুঁড়ে ঘরে শুরু হয় পুজো এবং মায়ের
আরাধনা। পুরোহিত বলছেন ৩৬৫ দিন এখানে জাগ্রত মা। পুজোর দিন বাদ্যযন্ত্র সহকারে সংকীর্তন
করে শ্মশান কালীর ঘট আনেন পুরোহিত।
দেবী এখানে
চামুণ্ডা রূপে পুজিত হন। এছাড়া কাল ভৈরবী রূপেও পুজো করা হয় তাকে। ভক্তদের পুজোর
ফল মিষ্টি ছাড়াও মানসিক করে পাঠা বলি দেওয়া হয়। চাল কুমড়ো এবং মদ দেবীকে ভোগ হিসেবে
নিবেদন করা হয়।