Festival and celebrations

1 year ago

Durga Puja 2023:মাকে দেওয়া হয় কচুশাক, বারুইপুরের বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির পুজোর বিশেষত্ব কী?

Puja of Banerjee's house in Baruipur
Puja of Banerjee's house in Baruipur

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ পুজোর আর এক মাসও বাকি নেই । জোরকদমে পুজোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বারুইপুরের বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার । বনেদি বাড়ির আনাচে-কানাচে এখন শুধু পুজো পুজো মেজাজ । কোথাও প্রতিমা গড়ার কাজ চলছে,রঙের প্রলেপ পড়ল বলে, কোথাও আবার গোল করে আলোচনায় বসছে বাড়ির মেয়ে-বউরা । পুজো নিয়ে চলছে নানারকম প্ল্যানিং । প্রায় ২৭৪ বছরের পুরনো এই বনেদি বাড়ির দুর্গাপুজোয় এখনও বজায় রয়েছে পুরনো নিয়মকানুন ও ঐতিহ্য । ১১৫৭ সালে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল থেকে জমিদার সহস্ররাম বন্দোপাধ্যায় মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর থেকে বারুইপুরের আদি গঙ্গা সংলগ্ন কল্যানপুরের বন্দোপাধ্যায় বাড়িতে বংশ পরম্পরায় দুর্গা পুজো হয়ে আসছে ।

রথের দিন থেকে কাঠামো পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয় । প্রতিপদেই বসে ঘট । কুলপুরোহিতের সঙ্গে তন্ত্রধারক মিলে শুরু করেন চণ্ডীপাঠ । সেইদিন থেকেই পরিবারে মাছ ছাড়া মাংস, ডিম, পেঁয়াজ এসব কিছুই খাওয়া হয় না। চলে লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত । মায়ের বোধন শুরু হয় দরমার বেড়া দিয়ে বেলগাছ ঘিরে। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, পুজার কয়েকটা দিন ফলকাটা থেকে শুরু করে নৈবেদ্য সাজানো সব কাজ বাড়ির ছেলেরাই করে । দীক্ষিত মহিলারাই পায় পুজোর ভোগ রান্নার অনুমতি ।

সপ্তমীর দিন মন্দির সংলগ্ন চাতালে যূপ কাষ্ঠে হয় পাঁঠা বলি । এছাড়া অষ্টমীর দিন ও সন্ধিপুজার সময় পাঁঠাবলির রীতি রয়েছে । এমনকি, নবমীর দিনও পাঁঠা ও শস্য বলি হয়ে থাকে । পুজোর কয়েকটা দিন মায়ের ভোগ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ । সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত মাকে ভোগে নানাপদ মাছ, মাংস ,ডাল, খিচুড়ি সবই দেওয়া হয় । কিন্তু, দশমীর দিন মাকে পান্তা ভাত, কচু শাক দেওয়া হয় । কারণ, দশমীর দিন অরন্ধন হিসেবে পালিত হয়। সে দিন রান্না হয় না ।

বর্তমানে বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির সদস্যরা কেউ থাকেন মুম্বই, কেউ ব্যাঙ্গালোরে আবার কেউ আমেরিকাবাসীও রয়েছেন । তবে, পুজোর সময় কয়েকটা দিন আবার সবাই একসঙ্গে হই হুল্লোড় করেন । পরিবারের পাশাপাশি এলাকার মানুষজনও মেতে ওঠেন বন্দোপাধ্যায় বাড়ির দুর্গাপুজোয় ।

You might also like!