দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ঈদ-উল-ফিতরের পরে মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উত্সব হল ইদ-উল-আধা।আজ আগামী ২৯ জুন পালিত হচ্ছে ঈদ-উল-আধা। মুসলিম ক্যালেন্ডার অনুযায়ী জুল-হিজ্জাহ মাসের দশম দিনে পালিত হয় ঈদ-উল-আধা।
মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে এই দিনে আল্লাহের নামে ছাগল, ভেড়া বা উট কুরবানি দেওয়ার প্রথা প্রচলিত আছে। এক সময় অবিভক্ত বাংলায় বকরি অর্থাৎ ছাগল ছাড়া অন্য কোনও কোরবানির পশু তেমন একটা পাওয়া যেত না, সেই থেকে ছাগল দিয়ে কোরবানি দেওয়ার কারণেই ঈদ-উল-আধার নাম হয় বখরি ঈদ। কোরবানির পাশাপাশি সবার জন্য মঙ্গল প্রার্থনা করে জামাত ও নমাজ পাঠ ও হয়ে থাকে আজকের দিনে।
ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে ইসলামের নবী হজরত ইব্রাহিমের কোনও সন্তান ছিল না। তিনি সর্বদা আল্লাহ তায়ালার কাছে সন্তানের জন্য প্রার্থনা করতেন। এর পর তাঁর পুত্র সন্তান হয়। তার নাম রাখেন ইসমাইল। নবী হজরত ইসমাইলকে খুব ভালবাসতেন। কখনো ছেলেকে চোখের আড়াল করতেন না। এইভাবে কয়েক বছর কেটে যায়।একদিন ইব্রাহিম স্বপ্ন দেখেন আল্লা তাঁর কাছে তার সব থেকে প্রিয় জিনিসটা চাইছেন। ইব্রাহিমের কাছে সবথেকে প্রিয় ছিল তাঁর ছেলে। তাই ছেলেকেই তিনি আল্লাহর কাছে উত্সর্গ করতে উদ্যোগী হন। ছেলেকে উত্সর্গ করার সময় ইব্রাহিম নিজের চোখে পট্টি বেঁধে নেন যাতে ছেলের প্রতি কোনও মায়া না থাকে। উত্সর্গ করার পরে ইব্রাহিম চোখ খুলে দেখেন তার ছেলে ইসমাইল পাশেই রয়েছে। এর পর তিনি একটা ভেড়া বলি দেন। আসলে এর মধ্যে দিয়ে ইব্রাহিমের ধৈর্য ও বিশ্বাসের পরীক্ষা নিচ্ছিলেন আল্লাহ।
মুসলিম সমুদায়ের বিশ্বাস আল্লাহ-র কাছে কোরবানির মধ্য দিয়ে নিজের আপন জনের মঙ্গল কামনা করা সম্ভব। এই কারনেই মুসলিম ধর্মে কোরবানি ঈদ বা বখরি ঈদ পালন করা হয়।