
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবারের অনভিপ্রেত ঘটনার জেরে বাংলার আমজনতা ক্ষোভে ফুঁসছে। একটি দারুণ ও চিরস্মরণীয় সকাল হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তার পরিবর্তে সৃষ্টি হলো লজ্জার ছবি। প্রশাসনিক অব্যবস্থার কারণে আর্জেন্টিনার ফুটবল তারকা মেসি বাধ্য হয়ে মাঠ ত্যাগ করেন। অন্যদিকে, হায়দরাবাদ ও মুম্বইয়ে মেসির মুখে দেখা যায় প্রানবন্ত হাসি, যেখানে কোনো বিতর্ক বা বিশৃঙ্খলা ছিল না। সেখানে রাজনৈতিক নেতারা তাকে ঘিরে সমস্যা তৈরি করেননি, কেউ ছবি তোলার জন্য হট্টগোল করেননি, এবং দর্শকরাও দূর থেকে তাকে ভালোভাবে দেখতে পেয়েছেন। মেসি কখনো শচিন বা সুনীল ছেত্রীর হাতে জার্সি তুলে দেন, আবার কখনো স্টেডিয়ামে বল পায়ে দেখান তাঁর দক্ষতা। সবমিলিয়ে কলকাতার এই ইভেন্টে ব্যর্থতার মূল কারণ বাংলা পুলিশের প্রশাসনিক এবং অনুষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের চূড়ান্ত অব্যবস্থা।
ইতিমধ্যেই বহু তারকা গোটা ঘটনার নিন্দে করেছেন। এবার মুখ খুললেন দেবও। অভিনেতা ও তৃণমূল সাংসদ দেব মন্তব্য করেছেন,‘বাংলার মানুষের জন্য একটা দাগ হয়ে গেল। আমারও প্রচণ্ড কষ্ট হয়েছে কারণ বাংলায় আমরা করতে পারিনি, অন্য রাজ্য সেটা করে দেখাল। তবে ডেফিনেটলি উই উইল কামব্যাক। তবে হ্যাঁ যে ইমেজটা কাল (শনিবারের কথা বলেছেন দেব) নষ্ট হয়েছে, সেটা অস্বীকার করা যাবে না।’ যদিও এরপর একটু হলেও ‘পলিটিক্যালি কারেক্ট’ দেব। তিনি নিজের বক্তব্যের সঙ্গে জুড়েছেন, ‘সেই ইমেজটা কীভাবে রিকভার করা যায়… মেসি তো শুধু ইন্ডায়ার নয়, ইন্টারন্যাশনাল ফিগার। পৃথিবীজুড়ে একটা… বলব না আমি কলকাতার, এটা গোটা ভারতের কাছে লজ্জার। যারা এটার সঙ্গে জড়িত, তাঁর নিশ্চয় ভাবছেনআমরা কীভাবে এটা কাটিয়ে উঠব। আমাদের মান-সম্মান কীভাবে অটুট রাখব। কীভাবে আমরা মাথা উঁচু করে বাঁচব, যারা অধিকারিরা তাদের সেটা ভাবা উচিত।’
প্রসঙ্গত, ঘটনার পর ইতিমধ্যেই শতদ্রু দত্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যিনি মেসিকে আনার পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। যুবভারতী স্টেডিয়ামের এই ঘটনা বাংলা প্রশাসন ও ফুটবল প্রেমীদের জন্য একটি কালো অধ্যায় হয়ে রইল।
