নয়াদিল্লি, ২ আগস্ট : কেন্দ্রীয় সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর (পিআইবি) ভূমিকা নিয়ে রাজ্যসভার সদস্য শমীক ভট্টাচার্যের নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দিলো কেন্দ্রীয় সরকার।
কলকাতায় পিআইবি-র স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মীসংখ্যা-বিষয়ক প্রশ্নের উত্তরে শুক্রবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ডঃ এল মুরুগান জানান, মন্ত্রকের সদর দফতর নয়াদিল্লিতে। তারই অধীনে দেশের পাঁচটি ‘জোন’-এ পিআইবি-র ১৯টি আঞ্চলিক অফিস আছে। কলকাতার পিআইবিতে ১৮ জন স্থায়ী এবং একজন অস্থায়ী কর্মচারী রয়েছেন।
বাংলায় পিআইবি-র প্রেস বিজ্ঞপ্তি পেতে সময় লাগে বলে শোনা যায়। এর কারণ এবং এই কাজে গতি আনতে কী ভাবা হচ্ছে— শমীকবাবুর এই প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, “দিল্লি থেকে দেওয়া পিআইবির অফিসিয়াল সাইটে দেওয়া কোনও তথ্য স্থানীয় ভাষায় অনুবাদ করা হয়। এর পর আঞ্চলিক ভাষায় সেগুলো প্রচারমাধ্যমে পাঠানো এবং ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়”। পিআইবি সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের খবর দ্রুততার সঙ্গে ছড়িয়ে দিতে মেল ছাড়াও গত ১১ জানুয়ারি থেকে সাংবাদিকদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ চালু করা হয়েছে। এতে সদস্য রয়েছেন ১১০ জন।
পশ্চিমবঙ্গে ভুয়া খবর নিয়ন্ত্রণের জন্য পৃথক তথ্যানুসন্ধানী শাখার ব্যাপারে পিআইবি কী ভাবছে? শমীকবাবুর এই প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, “কেন্দ্রীয় সরকারের খবর যাতে ভুল না ছড়ায় তা দেখতে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের আওতায় পিআইবি ২০১৯-এর নভেম্বরে সালে একটি তথ্য অনুসন্ধান ইউনিট গঠন করেছে। তারা প্রতিটি পর্যায়ে বিভিন্ন মন্ত্রক ও দফতরের স্বীকৃত সূত্রের কাছ থেকে তথ্যের বা খবরের সত্যতা বিশ্লেষণ করে তা সামাজিক মাধ্যমে তুলে দেয়”।পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ ও প্রচারমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি সম্পর্কে পিআইবি-র প্রক্রিয়া জানতে চান শমীকবাবু।
উত্তরে মন্ত্রী জানান, “পিআইবির মাধ্যমে সরকারের সমস্ত কর্মসূচির তথ্য সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া হয়। এছাড়াও ‘মিডিয়া বার্তালাপ’ নামে একটি কর্মসূচি চালানো হয়। এর মারফত সরকারের কাজের কথা সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়”।