Country

2 months ago

Infertility workshop Kolkata:কমছে জন্মহার, কর্মশালায় বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা নিয়ে বিশ্লেষণ

Infertility workshop Kolkata
Infertility workshop Kolkata

 

কলকাতা, ৪ আগস্ট : ২০০০ সালে ভারতবর্ষে জন্মহার ছিল ৩.৩৫ শতাংশ। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ২.১১২ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা আরও করুণ। এই রাজ্যে জন্মহার মাত্র ১.২ শতাংশ। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভিসের রিপোর্টে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

বিষয়টি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে ইনফার্টিলিটি ফিজিশিয়ান ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের দল। শনিবার ‘সৃষ্টি ইনফার্টিলিটি ক্লিনিক’-এর বার্ষিক সম্মেলনে সরকারি ও বেসরকারি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের উদ্যোগে তরুণ প্রজন্মের চিকিৎসকদের (যারা স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনা করছেন) জন্য একটি প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়।

জনসংখ্যার বিচারে ভারতবর্ষ বিশ্বের মানচিত্রে একেবারে সামনের সারিতে হলেও (১৪৫ কোটি) পৃথিবী জুড়ে সন্তানহীনতার সমস্যা বাড়ছে। এটা একটা আশঙ্কার কথা। ভারতের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ বরিষ্ঠ নাগরিক। মানুষের গড় আয়ু বেড়ে যাওয়ায় জনসংখ্যা বাড়লেও জন্মহার অনেক কমে গেছে।

এক দিনের এই কর্মশালায় তরুণ চিকিৎসকদের বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসার খুঁটিনাটি সম্পর্কে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরষ্কার পাওয়া চিকিৎসা বিজ্ঞানী দীপ্যমান গাঙ্গুলি, "সৃষ্টি"-র অধিকর্তা বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞ সুদীপ বসু, মুম্বইয়ের চিকিৎসক নীতিন চৌবাল, স্মিত প্যাটেল, খুরশিদ আলম, অভিনিবেশ চ্যাটার্জি, সুজয় দাসগুপ্ত প্রমুখ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা হাতেকলমে বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেন।

বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় আলট্রাসনোগ্রাফির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। অত্যাধুনিক ফিউচার আলট্রাসনোগ্রাফি, এন্ডমেট্রিওসিসের চিকিৎসায় বাটারফ্লাই পেরিটনেক্টমি, ল্যাটেরাল পেলভিক ওয়ালের ইউরেটার ডিসেকশন, ডুয়াল ট্রিগার ইন আইভিএফ, রোবোটিক সার্জারি ইন গায়নোকলজি ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

ডা সুদীপ বসু জানান যে, অন্যান্য অসুখের মত বন্ধ্যাত্বের ক্ষেত্রেও শুরুতে চিকিৎসা করালে ভাল ফল পাওয়া যায়, খরচও তুলনামূলক কম হয়। আসলে জীবনযাত্রার ব্যাপক পরিবর্তনের ফলে সন্তানধারণের সমস্যা বাড়ছে। স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক উপায়ে সন্তান না হলে কিছু নিয়মমাফিক পরীক্ষা করে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা করা হয়।

যেমন ধরুন কারুর হরমোনের তারতম্য অথবা কারুর টিউব ব্লক অথবা কোনও সিস্ট আছে। সেক্ষেত্রে এগুলির চিকিৎসা করলেই সন্তান ধারণ সম্ভব। যদি এই চিকিৎসা করে কোনও সুফল পাওয়া না যায় তখনই টেস্ট টিউব বেবি অর্থাৎ আইভিএফ এর সাহায্য নিতে হয়। বন্ধ্যাত্বের কারণ বহুমুখী। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডিম্বাণু বা শুক্রাণুর অস্বাভাবিকতা, ফ্যালোপিয়ান টিউবের গোলমাল, এন্ডোমেট্রিয়াম লাইনিং এর ত্রুটি অপর্যাপ্ত শুক্রাণু ইত্যাদি নানান সমস্যা বন্ধ্যাত্ব ডেকে আনে।

আর্টিফিশিয়াল রিপ্রোডাক্টিভ টেকনিক অর্থাৎ এআরটির সাহায্যে এই সমস্যাগুলিকে যতটা সম্ভব পাশ কাটিয়ে সন্তান ইচ্ছুক দম্পতির ডিম্বাণু ও শুক্রাণু সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে ভ্রূণ তৈরি করা হয়। সকলেরই এই বিষয়ে সচেতন হওয়া দরকার।

You might also like!