নয়াদিল্লি, ১৪ জুলাই : শ্রাবণ মাসের প্রথম সোমবারে দেশের সমস্ত শৈবতীর্থে ঢল নামল ভক্তদের। শ্রাবণের প্রথম সোমবার উপলক্ষ্যে লক্ষ লক্ষ ভক্ত কাশীতে বাবা বিশ্বনাথের জলাভিষেকের জন্য জড়ো হন। রাতভর দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়েছিল। "হর হর মহাদেব" ধ্বনিতে বারাণসী মুখরিত হয়ে ওঠে। পুলিশ ড্রোন, কিউআরটি এবং অশ্বারোহী বাহিনী দিয়ে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছিল। পুলিশ কমিশনার মোহিত আগরওয়াল বলেন, "আমরা এখানে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। সকল ঊর্ধ্বতন আধিকারিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছেন। সম্পূর্ণ ব্যারিকেডিং করা হয়েছে। ভক্তরা সুপরিকল্পিত এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবে দর্শন করছেন।" শ্রাবণের প্রথম সোমবারে, কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে প্রচুর ভিড় হয়েছে ভক্তদের। মন্দিরের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে "হর হর মহাদেব" ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হয়েছিল।
শ্রাবণের প্রথম সোমবার, কানওয়ারিরা প্রয়াগরাজের দশাশ্বমেধ ঘাটে জড়ো হয়ে শিব মন্দিরে জলাভিষেকের জন্য পবিত্র জল সংগ্রহ করেন। মুহূর্তে মুহূর্তে তাঁদের কন্ঠে "হর হর দেব" ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হয়। শ্রাবণের প্রথম সোমবারে, ভক্তরা গাজিয়াবাদের প্রাচীন দুধেশ্বর নাথ মন্দিরে খুব ভোর থেকেই লাইনে দাঁড়ান। ভক্তরা বিশ্বাস করেন, এখানে প্রার্থনা করলে মনের ইচ্ছা পূরণ হয়, যা গভীর বিশ্বাস এবং ভক্তির পরিচয় দেয়। শ্রাবণের প্রথম সোমবার, উজ্জয়িনীর শ্রী মহাকালেশ্বর মন্দিরে বিশেষ ভষ্ম আরতির জন্য ভক্তরা ভিড় জমান। মন্দিরটি ভোররাত ২:৩০ মিনিটে খোলা হয়।। ভগবান মহাকালের নগর শোভাযাত্রা বিকাল ৪টায় বের হওয়ার কথা রয়েছে। শ্রাবণের প্রথম সোমবারে, ভক্তরা ভোর থেকেই প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র স্নানের জন্য সমবেত হন। এরপর তারা জলাভিষেকের জন্য শিব মন্দিরে যান, বিশ্বাস করেন শ্রাবণের সময় সঙ্গমে স্নান করলে আধ্যাত্মিক পুণ্য এবং ভগবান শিবের আশীর্বাদ লাভ হয়।