দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ২৭ নভেম্বর ২০২৩ সোমবার কার্তিক পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হবে রাস পূর্ণিমা।হেমন্ত ঋতুর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উত্সব হল রাস। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রীরাধা এই দিনটিতে পূজিত হন। বৈষ্ণব তীর্থক্ষেত্র ও বিভিন্ন কৃষ্ণ মন্দিরগুলিতে মহা সমারোহ সহকারে রাস উত্সব পালন করা হয়।
এই বছর রাস পূর্ণিমা শুরু হচ্ছে ২৬ নভেম্বর ২০২৩ রবিবার সকাল ১১.২৩ মিনিটে৷
পূর্ণিমা ছেড়ে যাচ্ছে ২৭ নভেম্বর ২০২৩ সোমবার সকাল ১০.১৫ মিনিটে৷
উদয়া তিথি অনুসারে রাস পালন করা হবে ২৭ নভেম্বর সোমবারে।
পুরাণ অনুসারে বৃন্দাবনে থাকাকালীন শ্রীকৃষ্ণ গোপিনীদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে তিনি তাঁদের মনের সব ইচ্ছে পূরণ করবেন এবং তাঁদের সঙ্গে রাসলীলা করবেন। সেই প্রতিজ্ঞা রাখতেই কার্তিক পূর্ণিমা তিথিতে রাধা ও অন্য গোপিনীদের সঙ্গে রাসলীলা করেছিলেন কৃষ্ণ। সেই থেকে শুরু হয় প্রেমের উত্সব রাস।
প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে রস থেকেই রাস কথাটি এসেছে। প্রেমের রসে মাখা এই উত্সব তাই রাস নামে পরিচিত। শোনা যায় স্বয়ং শ্রীচৈতন্যদেব নবদ্বীপে এই উত্সবের সূচনা করেন। অনেকের মতে, ঈশ্বরের সঙ্গে আত্মার মহামিলনই রাস। পুরাণে শারদ রাস ও বসন্ত রাসের উল্লেখ রয়েছে। এটি সনাতন ধর্মালম্বীদের একটি বাৎসরিক উৎসব। শ্রীকৃষ্ণের ব্রজলীলার অনুকরণে বৈষ্ণবীয় ভাবধারায় এই উৎসব পালন হয়। মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রে পরবর্তী সময়কালে বাংলায় রাস উৎসবের বহুল প্রচলন ঘটে। নদিয়ার শান্তিপুর ও নবদ্বীপে টানা তিন থেকে চারদিন মহা সমারোহে পালিত হয় রাস উৎসব। উৎসবের শেষ দিন বের হয় শোভাযাত্রা। উত্তরপ্রদেশের মথুরা ও বৃন্দাবনে, এছাড়া ওড়িশা, অসম ও মণিপুরে রাসযাত্রার বিশেষ ভাবে পালিত হয়।
এই পূর্ণিমা তিথি কার্তিক পূর্ণিমা নামেও পরিচিত। মনে করা হয় এই পূর্ণিমায় উপবাস করলে একশো অশ্বমেধ যজ্ঞের সমান পূণ্যফল লাভ করা যায়। এই দিনে সূর্যোদয়ের আগে ব্রাহ্ম মুহূর্তে স্নান করা শুভ বলে ধর্মীয় বিশ্বাস। হিন্দুধর্মে এই পূর্ণিমার বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে এই দিনে ভগবান শিব ত্রিপুরাসুর নামে এক রাক্ষসকে বধ করেছিলেন। তাই এই পূর্ণিমা ত্রিপুরী বা ত্রিপুরারি পূর্ণিমা নামেও অনেক জায়গায় পরিচিত।