Country

1 week ago

Patanjali Case: অস্বস্তি বাড়ছে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনায়! আরও বড় বিজ্ঞাপনে ক্ষমাপ্রার্থী রামদেব

Patanjali Case (File Picture)
Patanjali Case (File Picture)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ মঙ্গলবারের পর ফের বুধবার। সাংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জনসমক্ষে ক্ষমা চাইলেন যোগগুরু রামদেব। বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের মামলায় সম্প্রতি প্রবল অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে তাঁর সংস্থাকে। বারবার সুপ্রিম কোর্টে এই নিয়ে ভর্ৎসনা করেছে তাদের। তাই এবার নতুন করে তাঁদের সংস্থা পতঞ্জলির তরফে ক্ষমা চাইতে দেখা গেল রামদেব ও আচার্য বালকৃষ্ণকে।

প্রসঙ্গত উল্লেক্য, মঙ্গলবারই সংবাদপত্রে ক্ষমা চায় পতঞ্জলি। কিন্তু শীর্ষ আদালতের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, রামদেবের ক্ষমাপ্রর্থনা নাকচ করা হল। কারণ ক্ষমা চাওয়ার ভঙ্গিমা মোটেও আন্তরিক ছিল না। বিচারপতি হেমা কোহলি বলন, ‘রামদেবের ক্ষমাপ্রার্থনা কি খুব স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয়েছে? যেভাবে খবরের কাগজের গোটা পাতাজুড়ে বড় বড় অক্ষরে পতঞ্জলির বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়, সেরকমভাবে রি ক্ষমাপ্রার্থনার বিজ্ঞপ্তি ছাপা হয়েছে?’

এরআগে রামদেবের আইনজীবী জানান, মোট ৬৭টি সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ক্ষমা চয়েছেন যোগগুরু। তার জন্য মোট ১০ লাখ টাকাো ব্যয় হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে শীর্ষ আদালত সাফ জানায়, যত টাকাই ব্যয় হয়ে থাকুক না কেন সেটা আদৌ গুরুত্বপূর্ণ নয়। এবার তাই নতুন করে বিজ্ঞাপন দিল পতঞ্জলি। এই বিজ্ঞাপন আগের দিনের বিজ্ঞাপনেরচেয়ে আকারে বড়।

বিজ্ঞাপনে লেখা হয়েছে, ‘২০২৩ সালের ২২ নভেম্বর সাংবাদিক সম্মেলন করার জন্য আমরা নিঃশর্ত ক্ষমা চাইছি। আমাদের বিজ্ঞাপন প্রকাশের সময় যে ভুল হয়েছে সেজন্য আমরা আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী এবং এই ধরণের ভুলের পুনরাবৃত্তি হবে না, এটাই আমাদের আন্তরিক অঙ্গীকার। আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে মাননীয় আদালতের নির্দেশ মেনে চলার অঙ্গীকার করছি।‘ সেইসঙ্গে আদালত ও আইনের নির্দেশ মেনে আগামিদিনে চলার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।

তবে এটাই প্রথম নয়, এর আগেও বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন নিয়ে একাধিকবার সুপ্রিম কোর্টের তোপের মুখে পড়েছে পতঞ্জলি। গত নভেম্বর মাসে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, ভুয়ো তথ্য দেওয়া বিজ্ঞাপন তৈরি করলে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানার মুখে পড়তে হবে। এরপর সুপ্রিম কোর্টে হাজিরা নিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চান যোগগুরু রামদেব। পরে বিস্তারিত হলফনামা দিয়ে জানান, এই ভুলের আর পুনরাবৃত্তি হবে না। তবে যোগগুরু একা নন, পতঞ্জলির ম্যানেজিং ডিরেক্টর তথা রামদেবের সহযোগী আচার্য বালকৃষ্ণও শীর্ষ আদালতে হলফনামা দাখিল করে নিঃশর্ত ক্ষমা চয়ে নেন।

এরপর উত্তরাখণ্ড সরকার পতঞ্জলি যোগপীঠ ভিত্তিক একটি হলফানাম দাখিল করে সুপ্রিম কোর্টে। হলফনামায় বলা হয় যে রাজ্য সরকারের তরফে পতঞ্জলকে একাধিকবার নোটিস পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এটি বম্বে হাইকোর্টের ২০১৯ সলের অন্তর্বর্তী আদেশের অধীনে আশ্রয় চায়। পদক্ষেপ নেওয়ার আস্বাস দিয়ে উত্তরাখণ্ড সরকার বলে যে তারা পরিস্থিতির গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন। ফলে রাজ্যের তরফে পতঞ্জলি আয়ুর্বেদিক লিমিটেডের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

You might also like!