দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ শুক্রবার দেশজুড়ে ২১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত রাজ্য মিলিয়ে মোট ১০২টি আসনে ভোট। পাঁচ বছর আগে এই ১০২ কেন্দ্রের মধ্যে ৪৫টি ছিল এনডিএ-র দখলে। এদিন,ভাগ্যপরীক্ষা মোদী মন্ত্রিসভার আট মন্ত্রীর। উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে রয়েছেন নীতিন গডকড়ি, কিরেণ রিজেজু, নিশীথ প্রামাণিকরা। প্রথম দফার ভোটে রয়েছেন বিপ্লব দেব, জিতিন রাম মাঝির মতো প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীরাও। রাজনৈতিক দিক থেকে উল্লেখযোগ্য আসনগুলির মধ্যে রয়েছে তামিলনাড়ুর ৩৯টি আসন, বিহার উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং মহারাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি আসন।
প্রথম দফায় ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট রয়েছেন-
নীতিন গড়করি
নাগপুর আসন থেকে জয়ের হ্য়াট্রিকের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা নীতিন গড়করি। ২০১৪ ও ২০১৯ সালে এই আসন থেকে জয়ী হয়েছিল নীতিন। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করি।
কিরেণ রিজিজু
অরুণাচল পশ্চিম কেন্দ্র থেকে লড়ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। ২০০৪ সাল থেকে এই আসন খেতে জিতে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন রিজিজু। এবার তাঁর সামনে কঠিন লড়াই। বর্তমানে আর্থ সায়েন্স এবং ফুড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রিজের দায়িত্বে রয়েছে। কিরেণ রিজিজুর বিপরীতে রয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নাবাম টুকি।
কোয়েম্বাটুর, বিজেপি প্রার্থী কে আন্নামালাই
লোকসভায় নজর রয়েছে বিজেপি প্রার্থী কে আন্নামালাইয়েপর দিকেও। সম্প্রতি তামিলনাড়ু ইউনিটের প্রধান গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে দলের অবস্থান সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য়ের মাধ্য়মে পরিচিতি পেয়েছেন। ৩৯ বছরের প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ২০১৯ সালে কাজ থেকে অবসর নিয়ে রাজনীতির ময়দানে প্রবেশ করেন।
গৌরব গগৈ, কংগ্রেস, জোড়হাট
কংগ্রেস হেভিওয়েট তরুণ প্রার্থীদের দৌড়ে রয়েছে গৌরব গগৈ। অসমের কালিয়ার বথেকে দুইবারের সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ২০১৪ ও ২০১৯ সালে বিজেপি প্রার্থীকে ধরাশাযী করেন। এবার গৌরব লড়ছেন জোরহাট আসন থেকে।
তামিলিসাই সৌন্দর্যারন, চেন্নাই দক্ষিণ তামিলাসাই সুন্দরাজন সম্প্রতি তেলঙ্গনারা রাজ্যপাল ও পুদুচেরির লেফটেন্যান্ট গর্ভনর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরার জন্য চেন্নাই দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। প্রবীণ কংগ্রেস নেত্রী কুমারী অনন্তনের কম্যার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে সুন্দরাজন। ২০১৯ সালে লড়াইয়ে সুন্দরাজন পরাজিত হন।
নকুল নাথ, কংগ্রেস, ছিন্দওয়াড়া
কংগ্রেস নেতা ও মধ্য প্রদেশে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের ছেলে নকুল নাথ ছিন্দওয়াড়া থেকে লড়ছেন। তিনি বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কমল নাথের ছেলে।
কে কানিমোঝি, ডিএমকে, থুথুক্কুডি
দুইবারের রাজ্যসভার সাংসদ কানিমোঝি ২০১৯ সালে লোকসভায় সাংসদ নির্বাচিত হয়। সংসদে বিরোধীদের সবচেয়ে প্রতিবাদী কণ্ঠের মধ্যে পরিচিত পাশাপাশি তিনি জাতীয় রাজধানীতে DMK-এর প্রধান মুখও বটে।
সর্বানন্দ সোনওয়াল, বিজেপি, ডিব্রুগড়
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মধ্য়ে তালিকায় রয়েছেন অসমের সর্বানন্দ সোনওয়াল। এই রাজ্যের ডিব্রুগড় থেকে লোকসভায় ফিরতে চাইছেন কেন্দ্রীয় বন্দর, নৌপরিবহন ও জলপথ মন্ত্রী। কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর তেলির পরিবর্তে রাজ্যসভার সদস্য সর্বানন্দকে ডিব্রুগড় থেকে প্রার্থী করা হয়েছে।
জিতিন প্রসাদ
২০২১ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন জিতিন প্রসাদ। এবার তিনিও বড় মুখ। উত্তর প্রদেশের পিলভিট আসন থেকে প্রার্থী করা হয়েছে তাঁকে। এই কেন্দ্র থেকে দুইবারের সাংসদ ছিলেন বরুণ গান্ধী। এবার বরুণের পরিবর্তে প্রার্থী করা হয়েছে জিতিনকে।
কার্তি চিদম্বরম, কংগ্রেস, শিবগঙ্গা
কংগ্রেস নেতা এবং শিবগঙ্গার সাংসদ কার্তি চিদাম্বরম এবারও একই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই কেন্দ্র থেকে তাঁর বাবা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি. চিদাম্বরম সাতবার জিতেছিলেন।
এছাড়াও হেভিওয়েটদের মধ্য়ে রয়েছেন, দয়ানিধি মারান (চেন্নাই সেন্ট্রাল), অর্জুনরাম মেঘওয়াল (বিকানির), ভূপেন্দ্র যাদব (আলওয়ার), নিশীথ প্রামাণিক (কোচবিহার)।