দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কীকে প্রথম ফোন করে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন। দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে এটিই ছিল প্রথম আনুষ্ঠানিক কথোপকথন। এই ফোনালাপে মোদী নেপালকে আশ্বাস দিয়েছেন যে, যেকোনো পরিস্থিতিতে ভারত তার পাশে আছে।
বৃহস্পতিবার সকালে সুশীলার সঙ্গে কথা হয়েছে মোদীর। নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায় সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, বর্তমান নেপালে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারে ভারতের সমর্থনের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী লিখেছেন, ‘‘নেপালের অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কীর সঙ্গে ফোনে কথা হল। সাম্প্রতিক কালে নেপালে মর্মান্তিক প্রাণহানির জন্য তাঁকে আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছি। নেপালে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় সর্বদা পাশে থাকবে ভারত, সে কথাও জানিয়েছি তাঁকে।’’ শুক্রবার নেপালের জাতীয় দিবস। তার আগে নেপালের নয়া প্রধানমন্ত্রী-সহ গোটা দেশের জনগণকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন মোদী।
সমাজমাধ্যমের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা নিয়ে চলতি মাসের শুরুতে ছাত্র-যুবর আন্দোলন শুরু হয় নেপালে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বহু বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়। ক্রমবর্ধমান বিক্ষোভের মুখে ৯ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেন নেপালের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে বেছে নেওয়া হয় সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলাকে। গত ১২ সেপ্টেম্বর দেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেছেন ৭২ বছরের সুশীলা। তার পর থেকে তাঁকে একাধিক বার অভিনন্দন জানিয়েছেন মোদী। সুশীলার প্রধানমন্ত্রীত্ব লাভকে ‘নারী ক্ষমতায়নের’ উৎকৃষ্ট উদাহরণ বলেও অভিহিত করেছেন তিনি। কখনও আবার নেপালের তরুণ তুর্কি তথা ‘জেন-জ়ি’র প্রশংসাও শোনা গিয়েছে মোদীর মুখে। তবে এই প্রথম ফোনে কথা হল দু’দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের।