নয়াদিল্লি, ১৮ জুলাই : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার সকাল ১১টা ৩০ মিনিট নাগাদ বিহারের মোতিহারিতে ৭,২০০ কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। এক জনসভাতেও ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এই বিষয়ে জানিয়েছে ভারত সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি)।
পিআইবি-র তরফে জানানো হয়েছে, "প্রধানমন্ত্রী রেল, সড়ক, গ্রামোন্নয়ন, মৎস্য, প্রযুক্তি ও ইলেক্ট্রনিক্স সহ বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। বিহারে তিনি বেশ কয়েকটি রেল প্রকল্প জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। এর মধ্যে রয়েছে সমস্তিপুর-বাছওয়ারা রেললাইন। এছাড়া, দ্বারভাঙ্গা-থালওয়ারা এবং সমস্তিপুর-রামভদ্রপুর রেললাইনের অটোমেটিক সিগন্যালিং ব্যবস্থা ও রেলপথ ডাবলিং-এর কাজেরও উদ্বোধন করবেন। ৫৮০ কোটি টাকার এই প্রকল্পের উদ্বোধন হলে ট্রেন চলাচল ক্ষমতা বাড়বে এবং ট্রেন চলাচলে যে দেরি হয় তা রোধ করা সম্ভব হবে।
প্রধানমন্ত্রী পাটলিপুত্রতে বন্দে ভারত ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিকাঠামো বিষয়ক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। ভাতনি-ছাপরা গ্রামীণ রেললাইনের ১১৪ কিলোমিটার পথ অটোমেটিক সিগন্যালিং ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করা হবে। দ্বারভাঙ্গা-নারকোতিয়াগঞ্জ রেললাইন ডাবলিং-এর প্রকল্পও উদ্বোধন করবেন তিনি। ৪,০৮০ কোটি টাকা মূল্যের এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে, পাশাপাশি উত্তর বিহারের সঙ্গে দেশের অন্যান্য অংশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে।সড়ক পরিকাঠামো ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী ৩১৯ নম্বর জাতীয় সড়কটি চারলেনবিশিষ্ট করার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এছাড়াও, পণ্য ও মানুষ চলাচলে স্বাচ্ছন্দ্য আনতে বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের মধ্যে যোগাযোগকারী সারওয়ান থেকে চাকাই পর্যন্ত সড়কপথের উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন।
দারভাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রী নতুন সফটওয়্যার প্রযুক্তি পার্কের সূচনা করবেন। এটি তথ্যপ্রযুক্তি সফটওয়্যার ক্ষেত্রে সুবিধা প্রদানে সহায়ক হবে। মৎস্য ও কৃষিক্ষেত্রে উৎসাহ দিতে প্রধানমন্ত্রী একগুচ্ছ প্রকল্পের সূচনা করবেন। এই প্রকল্পগুলির ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি মৎস্য উৎপাদন বাড়বে, বিহারের গ্রামীণ অঞ্চলের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। প্রধানমন্ত্রী পাটনার রাজেন্দ্রনগর থেকে নতুন দিল্লির মধ্যে চলাচলকারী চারটি নতুন অমৃত ভারত ট্রেনের যাত্রার সূচনা করবেন। প্রধানমন্ত্রী বিহারের ৬১,৫০০টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য দীনদয়াল অন্ত্যোদয় যোজনা জাতীয় গ্রামীণ আজীবিকা মিশনের আওতায় ৪০০ কোটি টাকা প্রদান করবেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ)-এর আওতায় ১২ হাজার সুবিধাপ্রাপকের হাতে বাড়ির চাবিও তুলে দেবেন শ্রী মোদী।"