
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: শীত পড়লেই মনটা চা বা কফির খোঁজে থাকে। গরম কফিতে চুমুক দেওয়ার আলাদা একটা আনন্দ আছে বটে, তবে সেই আনন্দই অনেক সময় পরিণত হয় অস্বস্তিতে—পেটফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্যসহ নানা সমস্যায়। কফি যেমন উপকারী, তেমনই অতিরিক্ত ক্যাফিন শরীরে ফেলতে পারে বিরূপ প্রভাব। তার ওপর দুধ-চিনি মিশিয়ে বারবার কফি খাওয়াও একেবারে স্বাস্থ্যসম্মত নয়। যদিও শীত এখনো পুরোপুরি নেমে আসেনি, তবুও ঠান্ডা দিনে গরম পানীয়ের প্রতি টান তো সবারই থাকে। তাই চা-কফির বদলে বেছে নিন কিছু স্বাস্থ্যকর বিকল্প—স্বাদও পাবেন, শরীরও থাকবে ভালো।
পাঞ্জিরি দুধ: উত্তর ভারতে শীতের দাপট বেশি হয়। এই সময় গা গরম রাখার জন্য এবং অত্যন্ত পুষ্টিকর পাঞ্জিরি খাওয়ার চল আছে। সেই পা়ঞ্জিরি গরম দুধে মিশিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন বিশেষ পানীয়।
প্রথমে গঁদ (এক ধরনের আঠা যা খাওয়া হয়) কড়াইয়ে হালকা নাড়াচাড়া করে নিতে হবে। এর পর একটি কড়াইয়ে একে একে কাজু, কাঠবাদাম, কিশমিশ, আখরোট, মাখানা, কুমড়োবীজ রোস্ট করে নিন। এবার একটি কড়াইয়ে ঘি দিয়ে তাতে বেসন এবং আটা ভাল করে ভেজে নিন। এর মধ্যে রোস্ট করে নেওয়া বাদাম, মাখানা, গঁদ মিক্সারে গুঁড়ো করে মিশিয়ে দিন। স্বাদমতো নুন দিন। বেশ কিছুক্ষণ আঁচ কমিয়ে নাড়াচাড়া করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে পাঞ্জিরি। দুধ গরম করে ১ বা ২ টেবিল চামচ পাঞ্জিরি গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। ছোট থেকে বড় সকলেই তা খেতে পারেন।
কাওয়া: কাওয়া হল কাশ্মীরি চা। কাঠবাদাম, কেশর, গ্রিন টি-র মিশ্রণে তৈরি এই পানীয় কাশ্মীরে বেশ জনপ্রিয়। সুস্বাদু এই চা শুধু গা গরম রাখতে সাহায্য করে না, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।একটি পাত্রে জল ফুটতে দিন। তাতে একে একে দারচিনি, এলাচ যোগ করুন। দিয়ে দিন কেশর, গোলাপের শুকনো পাপড়ি। জল ফুটে গেলে গ্রিন টি দিয়ে আঁচ বন্ধ করে দিন। এ বার কাচের পাত্রে কাঠবাদামের কুচি, কেশর এবং চিনি দিয়ে কাওয়া পরিবেশন করুন। চিনির বদলে মধুও দিতে পারেন।
বাজরে কি রাব: রাজস্থানে বাজরার আটা এবং দই দিয়ে তৈরি গরম পানীয়টি শীতের দিনে খাওয়ার চল রয়েছে।প্রথমেই এক কাপ টক দই খুব ভাল করে ফেটিয়ে নিতে হবে। আধ কাপ বাজরার আটাও জল দিয়ে ফেটিয়ে নিন। এবার ফেটানো টক দই এবং আট একসঙ্গে ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। যেন কোনও ড্যালা না থাকে।
এবার আঁচে কড়াই বসিয়ে মিশ্রণটি ঢেলে ২০-২৫ মিনিট মধ্যম আঁচে নাড়তে থাকুন। যোগ করুন স্বাদমতো নুন, লঙ্কার গুড়ো। আর একটি পাত্রে তেল গরম করে জিরে, হিং, কাঁচালঙ্কা ফোড়ন দিন। ফোড়নটি কড়াইয়ে রাখা দই-আটার মিশ্রণে ঢেলে দিন। মিনিট ২ রান্না হতে দিন। শেষে ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে নিন।
