
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: আসন্ন বিধানসভা ভোটের রণকৌশলে বড়সড় বদল আনলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। নিজের নবগঠিত দলের ১০ জন প্রার্থীর তালিকা দেওয়ার একদিনের মধ্যেই বালিগঞ্জ কেন্দ্রের প্রার্থী নিশা চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়া হলো। জনতা উন্নয়ন পার্টির পক্ষ থেকে হুমায়ুন কবীর স্পষ্ট করেছেন যে, বালিগঞ্জ থেকেও লড়বেন এক সংখ্যালঘু প্রতিনিধি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সেই নতুন প্রার্থীর পরিচয় সামনে আনা হবে।
তৃণমূল সাসপেন্ড করার পরই ভরতপুরের বিধায়ক জানিয়েছিলেন ২২ ডিসেম্বর নতুন দল ঘোষণা করবেন তিনি। বিধানসভা নির্বাচনে একশোর বেশি আসনে প্রার্থীও দেবেন। পূর্বঘোষণা মতো সোমবার নিজের দল ঘোষণা করেন হুমায়ুন। আগামী নির্বাচন অর্থাৎ ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে ১০ আসনে প্রার্থীর নামও ঘোষণা করেন তিনি। যে তালিকায় ছিল নিজের নাম ছিল ২টি কেন্দ্রে। শুধু তাই নয়, তালিকায় ছিলেন হিন্দু প্রার্থীও। বালিগঞ্জের প্রার্থী হিসেবে তিনি ঘোষণা করেছিলেন নিশা চট্টোপাধ্যায়ের নাম।
রাত পোহাতেই বদলে গেল ছবি। জানা যাচ্ছে, হুমায়ুনের দলের হয়ে ভোটের লড়াইয়ে নামবেন না নিশা। কিন্তু কেন? কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে, সোশাল মিডিয়ায় বহু ভিডিও রয়েছে নিশার। যা জনতা উন্নয়ন পার্টির ভাবমূর্তি নষ্ট করবে বলেই মনে করছে দল। সেই কারণেই প্রার্থী বদলের সিদ্ধান্ত। এবিষয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, “ওনার কিছু ভিডিও রয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। যা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে পারে। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত। আগামী ৭ দিনের মধ্যে বালিগঞ্জ আসনে মুসলিম প্রার্থীর নাম ঘোষণা করব।” এপ্রসঙ্গে এক কংগ্রেস নেতা বলেন, “উনি কী বলছেন, কেন বলছেন, কেন করছেন সেটা উনিই জানেন। এগুলোকে গুরুত্ব দেওয়ার কোনও কারণ নেই।”
