West Bengal

5 hours ago

Cooch Behar: উপনির্বাচনের আগে আবারও বিস্ফোরক কোচবিহারের সাংসদ জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া ! ঠিক কি বললেন?

Cooch Behar MP
Cooch Behar MP

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে আগামী ১৩ ই নভেম্বর কোচবিহারের সিতাই বিধানসভায় উপনির্বাচন। শাসক এবং বিরোধীদল গুলি ঘোষণা করেছে প্রার্থী নাম। যদিও উপনির্বাচনের প্রচারের নিরিখে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। গতকাল নির্বাচনী প্রচারে কোচবিহারে এসেছেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। সিতাইয়ে উপনির্বাচনের বিভিন্ন জনসভা করছেন তিনি। এবার তৃণমূল প্রার্থী সঙ্গীতা রায়ের সমর্থনে সিতাইয়ের বেসিক স্কুলের মাঠে জনসভা থেকে সরাসরি হুমকি দিলেন বিরোধীদের। বক্তব্য রাখতে গিয়ে কোচবিহারে তৃণমূল সাংসদ জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন - বিজেপি প্রার্থী নিজের বুথেই কোন বার জিততে পারেন না এই নিয়ে পরপর তিনবার তিনি প্রার্থী হয়েছেন আর প্রতিবারই পরাজয়ের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ‌ এবার এমন ব্যবস্থা করতে হবে যাতে তিনি নিজের বুথেই এজেন্ট দিতে না পারেন। এর আগে বিভিন্ন সময় কখনো সোশ্যাল মিডিয়া কখনো বা সাংবাদিকদের একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা দিনহাটা তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ। উপনির্বাচনের প্রচারে এবার সেই প্রতি বেছে নিলেন কোচবিহারের সাংসদ। যদিও তার এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সিতাইয়ের বিজেপি প্রার্থী দীপক কুমার রায়।

তিনি বলেন - গণতান্ত্রিক দেশে গণতন্ত্রের সব থেকে বড় কথা গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষা করা। তিনি বলেন তৃণমূল কংগ্রেস ভালো করেই জানেন যদি গণতান্ত্রিক পরিবেশ থাকে তাহলে সাধারণ মানুষ ভোট দেবে আর সাধারণ মানুষ যদি নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস রেকর্ড ভোটে হারবে।  আর সে কারণেই হুমকির সুরে বিভিন্ন অগণতান্ত্রিক কথাবার্তা বলে মানুষ যাতে সঠিকভাবে ভোট দিতে না পারে সেই জন্য ভয় দেখাচ্ছে। উল্লেখ্য গত বিধানসভা নির্বাচনে সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী তথা বর্তমান তৃণমূল সাংসদ জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া ৮ ভোটে জয়লাভ করেছিলেন। ২৪শে লোকসভা নির্বাচনে এই অঞ্চল থেকে ২৮ হাজারের বেশি বটে এগিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। অপরদিকে দিনহাটা এক ব্লকের ১৫ টি অঞ্চল এবং সিতাইয়ের ৫ টি অঞ্চল নিয়ে সিতাই বিধানসভার উপনির্বাচন। প্রত্যেকটি অঞ্চলেই ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে স্বভাবতই সাংগঠনিক শক্তি বিরোধীদের থেকে অনেকটাই বেশি তৃণমূলের। এমত অবস্থায় উপনির্বাচনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিরোধীদের এহেনো হুমকি তাহলে কি অন্যকিছু ইঙ্গিত করছে ? এমনই জল্পনা সর্বত্র।

You might also like!