দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ আরপিএফের সঙ্গে তৃতীয় লিঙ্গের কয়েকজনের মারপিটে ধুন্ধুমার বাঁধল বর্ধমান স্টেশনে। মঙ্গলবার দুপুরে আরপিএফের সঙ্গে বচসা শুরু হয় তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যাদের। তারপরেই লাঠি নিয়ে তাদের তাড়া করে আরপিএফ। তখনকার মতো স্টেশনের বাইরে চলে যান তাঁরা। কিন্তু তারপরেই পাল্টা সংঘবদ্ধ হয়ে আক্রমণ চালানোর অভিযোগ ওঠে।
জানা গিয়েছে, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের বিরুদ্ধে যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, জোর করে টাকা আদায়-সহ একাধিক অভিযোগ জমা পড়ছিল আরপিএফের কাছে। মঙ্গলবার সকালে আরপিএফ জওয়ানেরা অভিযানে নামেন। আর তা করতে গিয়ে ব়ড় গোলমাল শুরু হয়ে গেল বর্ধমান স্টেশনে। প্রথমে আরপিএফের সঙ্গে বচসা শুরু হয় তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের। অভিযোগ, তার পর তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের তাড়া করে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের বাইরে বার করে দেয় আরপিএফ। অভিযোগ, কিছু ক্ষণের মধ্যেই তাঁরা ফিরে আসেন আরও বড় দল নিয়ে। শুরু হয়ে যায় মারপিট। আরপিএফের দাবি, তাদের পাঁচ কর্মী তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের মারে জখম হয়েছেন। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের অভিযোগ, আরপিএফ বিনা কারণে তাঁদের কাজে বাধা দিচ্ছে। মারধর করছে। ট্রেনে ও প্লাটফর্মে কাজ করতে গেলে আরপিএফ প্রতিনিয়ত অত্যাচার করে বলেও দাবি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের। মারপিটে তাঁদেরও কয়েক জন সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের।
বর্ধমান স্টেশনের আরপিএফ ইনস্পেক্টর আশিসকুমার সরকার জানান, মঙ্গলবার আরপিএফের পক্ষ থেকে বর্ধমান স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে বিশেষ অভিযান চালানো হয়। এর কারণ হিসাবে তিনি জানিয়েছেন যে, বেশ কয়েক দিন ধরেই বারে বারে সাধারণ ট্রেন যাত্রীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছিল। চলন্ত ট্রেনের কামরায় তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা সাধারণ ট্রেন যাত্রীদের কাছ থেকে জোর করে টাকা আদায় করছেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে। এমন একাধিক অভিযোগ আসে আরপিএফের কাছে। তার পরেই মঙ্গলবার অভিযানে নামার পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু অভিযানে নামতেই গোলমাল শুরু। রেল পুলিশের দাবি, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের আক্রমণে অন্তত পাঁচ জন আরপিএফ কর্মী আহত হয়েছেন।
মারপিটের পর তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা বর্ধমানের আরপিএফ অফিসের সামনে জমায়েত হন। শুরু হয় বিক্ষোভ। বেশ কিছু ক্ষণ বিক্ষোভ দেখানোর পর এলাকা ছেড়ে চলে যান তাঁরা।