দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ব্যান্ডেলের নলডাঙায় থাকেন বছর ৬৮-র রেণুরানি পাল। স্বামী গত হয়েছেন বহু আগে। দুই মেয়েই বিবাহিত। অন্যত্র থাকেন। নলডাঙার বাড়িতে একাই থাকতেন রেণুরানি। দু’মাস মুম্বইয়ে মেয়ের বাড়িতে কাটিয়ে গত সোমবার নলডাঙার বাড়িতে ফেরেন তিনি। তাঁর বাড়িতেই গভীর রাতে ডাকাতি হয়ে গেল।শুক্রবার ভোররাতে বাড়িতে ঢুকে তাঁকে বেঁধে রেখে ঘর থেকে টাকা ও সোনার গয়না লুঠ করে।
রেণুদেবীর বড় মেয়ে অদিতি বন্দ্যোপাধ্যায় থাকেন ব্যান্ডেলের ওলাইচণ্ডীতলায়। ছোটো মেয়ে সোনালী সিন্ধে থাকেন মুম্বইতে। দু'মাস ছোটো মেয়ের বাড়িতে ছিলেন বৃদ্ধা। সেসময় বাড়ি বন্ধই ছিল। গত সোমবার নিজের বাড়িতে ফেরেন।শুক্রবার ভোর রাতে ঘুম থেকে উঠে শৌচালয়ে যান। বেরিয়ে দেখেন ঘরে বসে আছে চার যুবক। তাদের মাথায় স্পট লাইট লাগানো। চিৎকার করলেই মেরে দেবে বলে তারা হুমকি দেয় রেণুদেবীকে। এরপর হাত পা বেঁধে তাঁর গা থেকে সোনার গয়না খুলে নেয়।
রেণুদেবী বলেন, "ওরা আলমারির চাবি নিয়ে আলমারি খোলে। পেনশনের ৩৫ হাজার টাকা তুলে রেখেছিলাম তা নিয়ে নেয়। ব্যাঙ্কের বই,চেক বই, জামাকাপড় সব ছড়িয়ে ফেলে।" প্রায় পঁয়তাল্লিশ মিনিট ধরে এই কাণ্ড চলে। তিনি বলেন, "দুষ্কৃতীদের বয়স ২২-২৪ হবে। নেশা করেছিল প্রত্যেকেই। একজন তো ঘুমিয়েও পড়েছিল। ডাকাতি করার ফাঁকে আমার সব খোঁজখবর নেয়। স্বামী কী করত, কবে মারা গেছে, মেয়েরা কোথায় থাকে এসব জানতে চায় ওরা।"
রেণুদেবীর ঘরের পাশেই থাকেন তাঁর আত্মীয়রা। তাঁর জা মিতা পাল বলেন, "আমরা পাশে থাকলেও কিছু টের পাইনি। ঘন বসতি এলাকায় এমন ঘটনায় প্রত্যেকেই আতঙ্কে ভুগছে।"
সকালে বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় বাসিন্দা তরুণ চট্টোপাধ্যায় পুলিশে খবর দেন। ব্যান্ডেল পুলিশ ফাঁড়ি থেকে পুলিশ আসে ঘটনার তদন্তে। কোদালিয়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য শুভঙ্কর রাহা বলেন, "বড় রাস্তাগুলোতে পুলিশ টহল দেয়। কিন্তু ভিতরে রাস্তাগুলোতে পুলিশ যায় না। এর আগে পুরনো কোদালিয়া এ ধরনের একটি ঘটনা হয়েছিল তবে নলডাঙ্গায় এই প্রথম। দুষ্কৃতীদের ধরুক পুলিশ, টহল বাড়ুক এটাই চাইব।"