রাজ্যজুড়ে সাম্প্রদায়িক অশান্তি পাশাপাশি ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের চাকরি বাতিল এবং কোচবিহার জেলা বিজেপির কার্যালয়ে কিছুদিন আগে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের দ্বারা হামলার বিরুদ্ধে সোমবার কোচবিহার জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল এবং জেলা শাসককে ডেপুটেশন দেওয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। প্রচুর কর্মী সমর্থক মিছিল করে জেলা সদর কার্যালয়ে থেকে কোচবিহার জেলাশাসক দপ্তরের সামনে উপস্থিত হন। গত দু-তিন দিন আগে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের জেলাশাসক অভিযান ঘিরে ধুন্দুমার হয়েছিল ব্যাপক লাঠিচার্জ হয়েছিল পুলিশের পক্ষ থেকে। সোমবার তাই সকাল থেকেই জেলাশাসক দপ্তরের দুই দিকে উঁচু বাসের ব্যারিকেড তৈরি করা হয়। মোতায়েন করা হয় বিরাট পুলিশ বাহিনী। তৈরি ছিল জল কামান। বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা মিছিল করে আসলে পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং সেখানেই তারা বসে পড়ে বিক্ষোভে সামিল হন। এরপর বিজেপির নয় জনের একটি প্রতিনিধিদল দেখা করতে যান জেলা শাসকের কাছে। সেখানেও বিপত্তি। জেলাশাসক দেখা করতে চাননি বাধ্য হয়ে জেলাশাসক দপ্তরের মধ্যে থাকা সংখ্যালঘু দপ্তরে ডিএমডিসি তাদের ডেপুটেশন গ্রহণ করেন। স্থানীয় তৈরি হয় সমস্যা। কোচবিহারের বিজেপির তিন বিধায়ক এবং জেলা সভাপতি যখন সেই দপ্তরের ভিতর প্রবেশ করেন সেখানে ছিল না পর্যাপ্ত বসার ব্যবস্থা জানিয়ে খুব উগড়ে যান তারা। যদিও পরবর্তীতে ডিএমডিসির দপ্তরে তারা ডেপুটেশন জমা দেন। বেরিয়ে আসার পথে কোচবিহার তুফানগঞ্জের বিজেপি বিধায়িকা মালতি রাভা রায় বলেন - রাজ্যজুড়ে যে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস চলছে যেভাবে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ হচ্ছে তার প্রতিবাদে পাশাপাশি কোচবিহার জেলা বিজেপির সদর কার্যালয়ে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হামলা এবং এই যে ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের চাকরি বাতিল তার দাবিতে আমাদের আজকের এই বিক্ষোভ এবং ডেপুটেশন কর্মসূচি। অবিলম্বে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন জেলাশাসক কোনদিনই আমাদের সাথে দেখা করেন নি, এখন উনি ভয় পাচ্ছেন আসলে জেলাশাসক তৃণমূলের জেলা সভাপতি। পাশাপাশি করা পুলিশি ব্যবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন তৃণমূলের একমাত্র সৈনিক পুলিশ। পুলিশি তো বিরোধীদের কন্ঠ রোধ করবে বিরোধীদের উপর আক্রমণ করবে এবং তাদের মিথ্যা মামলায় জড়াবে সে কারণেই তাদের এই ব্যবস্থা আসলে এই সরকার তার দায় এরাতে পারেন না।