দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ সিকিমে ভ্রমণের পরিকল্পনা মানেই ট্যুর প্ল্যানারের তালিকায় থাকে, গ্যাংটক, ছাঙ্গু লেক কিংবা গুরুদংমার হ্রদ। এগুলি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে সুপরিচিত। তবে আজকাল বেশিরভাগ মানুষই জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পট ছেড়ে তুলনায় নিরিবিলি অফবিট জায়গার খোঁজ করছেন। সুখবরটা হল, সিকিমেও রয়েছে বেশ কিছু অফবিট লোকেশন (offbeat travel), যেখানে প্রকৃতির কোলে শান্ত পরিবেশে কয়েকটা দিন কাটানোর সুযোগ মিলবে। পর্যটকদের ভিড়ভাট্টাও থাকবে না।
‘সাং’ (Sang village) হল তেমনি একটি গ্রাম। পূব সিকিমের (East Sikkim) এই ছোট্ট জনপদটিতে গুটিকয়েক মানুষের বাস। প্রকৃতি এখনও সেখানে শহুরে কৃত্রিম জীবনের ছোঁয়া পায়নি। মেঘে ঢাকা সবুজে ঘেরা অপরূপ এই পাহাড়ি গ্রাম পক্ষীপ্রেমীদের কাছেও ছুটি কাটানোর আদর্শ ঠিকানা হয়ে উঠতে পারে। তার কারণ হল, এই গ্রামে অজস্র প্রজাতির পাখি রয়েছে। তাদের কনকাকলিতে কার্যত মুখরিত হয়ে থাকে সাং।
সাং থেকে রুমটেক মনাস্ট্রি একেবারেই কাছে। রুমটেক মনাস্ট্রি হল সিকিমের সর্ববৃহৎ বৌদ্ধ মঠ। গ্রামের অদূরেই রয়েছে একটি জলাশয়, সেটি দেখতে গেলে খানিক দূর ট্রেক করে যেতে হবে। শুধু পাখি নয়, এই গ্রামের জঙ্গলে দেখা মেলে বিরল রেড পান্ডার।
সাং-এ একদিন কিংবা দুদিন কাটিয়ে সেখান থেকে ঘুরে আসতে পারেন নামচি। সময় লাগে মাত্র দু ঘণ্টা। এই গ্রাম থেকে রাবাংলা মাত্র আড়াই ঘণ্টার রাস্তা। ঘুরে আসতে পারেন পেলিং থেকেও। সেখানে ৪ ঘণ্টাতেই পৌঁছে যাওয়া যায়।
কীভাবে যাবেন
সাং গ্রামে যেতে চাইলে আগে পৌঁছাতে হবে রুমটেক। সেখান থেকে এই গ্রাম অল্পক্ষণের রাস্তা।
কোথায় থাকবেন
একেবারেই অফবিট জায়গা হওয়ায় সাং গ্রামে থাকার জায়গা খুব বেশি নেই। একেবারে হাতেগোনা হোমস্টে রয়েছে। আগে থেকে বুকিং করে যেতে হবে।