দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ঝাড়খণ্ডের মধুবন থেকে ৯ কিমি দূরে ১৩৬৬ মিটার উঁচু জৈনধর্মের অন্যতম তীর্থস্থান এই পরেশনাথ পাহাড়। জানা যায়, ২৩তম জৈন তীর্থঙ্কর পার্শ্বনাথ স্বামী ১০০ বছর বয়সে শ্রাবণ মাসের শুক্লা অষ্টমীতে এই পাহাড়ে এসে দেহত্যাগ করেন। সেই থেকে তাঁরই নাম অনুসারে এই পাহাড়ের নাম হয় পরেশনাথ পাহাড়। পরবর্তীকালে এখানে মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়। পাহাড়ের অন্যতম আকর্ষণ এই পার্শ্বনাথ স্বামীর মন্দির। তবে শুধুমাত্র পার্শ্বনাথ স্বামী নয় অন্য ২৩জন তীর্থঙ্করেরও মন্দির রয়েছে এখানে। পার্শ্বনাথ মন্দির থেকে একটি পথ নেমেছে সীতানালায়। মনে করা হয়, বনবাসের পথে রাম ও সীতা এখানে বিশ্রাম নিয়েছিলেন। এটা মূলত তীর্থস্থান।তবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই পাহাড়। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ২৪ টা মন্দির তো আছেই আর আছে শাল,শিরীষ,পলাশ মহুয়ার বন।শীতের শেষ থেকেই সমস্ত পাহাড় লাল হয়ে ওঠে।মহুয়ার গন্ধে বাতাসে লাগে মিষ্টি গন্ধ। ধর্মপ্রাণ ও প্রকৃতি প্রেমিক - দুই ধরনের মানুষের কাছেই আকর্ষণীয় এই পরেশনাথ পাহাড়।
যাওয়া - কলকাতা বা হাওড়া থেকে গ্র্যান্ড কর্ড লাইনে ৩০৬ কিমি পশ্চিমে পরেশনাথ স্টেশন। জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেস, পূর্বা এক্সপ্রেস, শিপ্রা এক্সপ্রেস, চম্বল এক্সপ্রেস, দুন এক্সপ্রেস, যোধপুর এক্সপ্রেস, মুম্বই মেলে ঘণ্টা সাতেকের পথ। এছাড়াও রয়েছে আরও অনেক ট্রেন। স্থানীয় শহরের নাম ইশরিবাজার। সেখান থেকে বাস ধরে মধুবন। মধুবন থেকে ৯ কিমি পাহাড়ি পথ পেরিয়ে পৌঁছে যাবেন পরেশনাথে। কষ্টকরে একবার উঠতে পারলে অচিরেই ভুলে যাবেন পথের ক্লান্তি।
থাকা-খাওয়া - মধুবনে শ্রীসম্মেতশিখর দিগম্বর জৈন ধরমশালাকে কেন্দ্র করে ১ কিমি জুড়ে দোকানপাট, ব্যাঙ্ক, ধরমশালা। ভাড়া খুব বেশি নয়। তীর্থযাত্রী ও ভ্রমণার্থী দুইয়ের কাছেই খুব পবিত্র আর মনোরম এই পরেশনাথ।
চলুন প্রকৃতি ও ঈশ্বরের টানে দু'দিনের জন্য পরেশনাথ মন্দির।