দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে ঘুরতে যাওয়ার জন্য কেবল একটা বাহানা লাগে। তবে ভ্রমণপিপাসা আর পাহাড় পিপাসা কিন্তু এক নয়! পাহাড়ের এক আলাদা নেশা আছে। সবুজ পাহাড় আর পাকদণ্ডী পেরোনোর অভিজ্ঞতা না থাকলে এর মানে শব্দে ঠিক প্রকাশ করা যায় না। বন্ধুদের সঙ্গে ট্রেক ট্রিপ প্ল্যান হলেও ক্যান্সেল হয় ওয়ার্ক প্রেসারে। আবার এমনও হয়, প্ল্যান না হলেও রাতবিরেতে কেবল হুজুগের বশে বেরিয়ে পড়া হয় পাহাড়ের টানে। এটাই হয়তো পাহাড় প্রেম৷ আপনি পাহাড় পছন্দ করলে মনে একবার ইচ্ছে তো হয়েছেই সান্দাকফু ট্রেক করার৷ কিংবা সিঙ্গালিলায় রাতের আকাশে গ্যালাক্সি দেখার! তবে যদি সান্দাকফু না হলেও টংলু কিন্তু হতেই পারে। এই প্রতিবেদনে টংলু আর টুংলিংয়ের খুটিনাটি থাকল আপনাদের জন্য।
দার্জিলিংয়ে (Darjeeling) মানেভঞ্জন থেকে সান্দাকফু যাওয়ার পথে পড়ে এই টংলু গ্রাম। সান্দাকফু যাওয়ার পথে মূলত ট্রেকার্সরা এই গ্রামে রাতে থাকেন। এটাই সান্দাকফুর প্রথম বেস ক্যাম্প। ছোট্ট দুটো গ্রাম যেন পাশাপাশি ভাই বোন। প্রকৃতির রূপ বর্ণনা করার মত নয়। বার বার আপনাকে আবেশে ফেলবে। রাস্তার পাশে ওকে পাইনের সারি। কিংবা রডোডেনড্রেন। আপনাকে স্বাগত জানাবে। অচেনা পাখি, নাম না জানা জংলী ফুল আপনাকে মোহিত করবে। আর পাহাড় যদি দেখতে চান তবে টুংলিং আর টংলুর বিকল্প হয় না। ভারত ও নেপাল সীমান্তবর্তী এই নিরিবিলি গ্রাম।
পাহাড়ের ১০,১৩০ ফুট উচ্চতায় এই ছোট্ট গ্রাম। তবে এই ট্রেকে বাচ্চা বা বয়স্ক ব্যক্তি থাকলে একটু সমস্যা হতে পারে। টংলুতে ঠান্ডা একটু বেশি। শীতকালে হিমাঙ্কের নীচে থাকে তাপমাত্রা। অপূর্ব মায়াবী জায়গা এই দুটো ছোট্ট গ্রাম। কুয়াশায় মোড়া চারদিক। আকা বাকা পথ। একাধিক হোম স্টে ও লজ রয়েছে। দূরে পাহাড়ের সারি। টুংলিং থেকে সান্দাকফু মোটামুটি ১৯ কিমি। আকাশ যদি পরিষ্কার থাকে আর ভাগ্য যদি সহায় থাকে তবে আপনি কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য দেখতে পারেন যা অন্য কোথাও থেকে এত ভাল দেখা যায় না।
কী ভাবে যাবেন
এনজেপি বা শিলিগুড়ি থেকে মিরিক হয়ে মানেভঞ্জনের দূরত্ব প্রায় ৭৫ কিমি। দার্জিলিং (Darjeeling) থেকে ঘুম হয়ে মানেভঞ্জন পর্যন্ত দূরত্ব মোটামুটি ২৫ কিমি। এনজেপি থেকে সরাসরি গাড়ি ভাড়া করে আসতে পারেন এই দুই গ্রামে রাস্তা কিছুটা খাড়াই। বছরের বেশিরভাগ সময়ই কুয়াশা থাকে। বর্তমানে এখানে যাতায়াতে অনেকটাই সুবিধা হয়ে গিয়েছে। মেঘমা পর্যন্ত গাড়িতে আসা যায়। আর সেখান থেকে মোটামুটি ২ কিমি ট্রেক করে যেতে হয় টংলু। পরের গ্রামটা টুংলিং। সেটা আরও প্রায় ২ কিমি দূরে টুংলিং।