দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ১৯৫০ সালে ২৬ জানুয়ারী কার্যকর হয়েছিল স্বাধীন ভারতের সংবিধান। তারপর থেকেই দিনটি পালন হয় সাধারণতন্ত্র দিবস হিসেবে। ব্রিটিশ রাজকে খতম করে স্বাধীনতা ১৯৪৭ সালে আসলেও এদিনই ভারত পায় আসল মর্যাদা। দেশপ্রেমের এই আবহে ঘরেতে ছোট্ট অতিথি আসলে তার নামকরণের জন্য দেখতে পারেন এই বিশেষ তালিকা। অর্থ ও প্রাসঙ্গিকতা শুনলে সন্তানের এই নাম পছন্দ হবেই।
দেশনায়কদের নামে হোক সন্তানের নামকরণ
সুভাষ- হাজার হাজার অগণিত মানুষ স্বাধীনতার লড়াইয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। কিন্তু তাদের মধ্যে নেতা ও দেশনায়ক হিসেবে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসের অবদান আজও ছাপ ফেলে প্রত্যেক দেশবাসীর মনে। নেতাজির আদর্শ, সাহসিকতা ও নেতৃত্বের উপাখ্যান জীবনের দিশা দেখাতে পারে আপনার সন্তানকেও। তাই তো এমন দেশনায়কের নামেই পরিচিতি পাক আপনার সন্তান। তার নাম রাখুন সুভাষ।
মোহন- মহাত্মা গান্ধী অর্থাৎ মোহনদাস করম চাঁদ গান্ধীর নামেও রাখতে পারেন সন্তানের নাম। স্বাধীনতা আন্দোলনে ও স্বাধীন ভারত গঠনে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাঁর প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতার ঝলক সন্তানের মধ্যে দেখার স্বপ্ন নিয়ে রাখতে পারেন এই নাম।
বিনয়, বাদল, দীনেশ- কলকাতার বুকেই ব্রিটিশ প্রশাসনিক ভবনের মধ্যে ঢুকে অসমসাহসী এই তিন যুবক চালিয়েছিলেন হামলা। দীনেশ গুপ্ত, বিনয় বসু ও বাদল গুপ্ত।
এই ত্রয়ীর সম্মানে কলকাতার একটি এলাকার নাম রাখা হয়েছে তাদের আদ্যক্ষরে। অসম্ভব প্রতিভাশালী এই তিন বাঙালি যুবকের মধ্য়ে থেকে কোনও একজনের নাম বেছে নিতে পারেন আপনার সন্তানের জন্য।
বাংলার এই দুই স্বাধীনতা সংগ্রামীর নামও ছেলের জন্য মানানসই
প্রফুল্ল- ব্রিটিশদের বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া অন্যতম কনিষ্ঠ বিপ্লবী ছিলেন প্রফুল্ল চাকী। সর্বকনিষ্ঠ বিপ্লবী হিসেবে ফাঁসির সাজা প্রাপ্ত ক্ষুদিরাম বসুর সঙ্গী হিসেবে বিহারের মুজাফফরপুরের অত্যাচারী ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ডকে হত্যার অভিযানে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ার সময় আত্মাহুতি দেন এই বীর যোদ্ধা। কিশোর বিপ্লবীর এই সাহসিকতাকে স্মরণ করে নিজের সন্তানের নাম দিতে পারেন প্রফুল্ল।
সূর্য- চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুঠ করে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিলেন যে বিপ্লবী, সেই মাস্টারদা সূর্য সেনের নামেও রাখতে পারেন সন্তানের নাম।
স্বাধীনতা আন্দোলনে এদের অবদানও কম নয়
আজাদ- আজাদ শব্দের অর্থ স্বাধীন, মুক্ত। স্বাধীনতার সঙ্গে যার অমোঘ যোগ, সেই চন্দ্রশেখর আজাদের নামে মাকরণ করুন সন্তানের।
লক্ষ্মী- স্বাধীনতার আন্দোলনে পিছিয়ে ছিলেন না মহিলারাও। ঝাঁসির রাণী লক্ষ্মী বাঈ থেকে আজাদ হিন্দ ফৌজের ক্যাপ্টেন লক্ষ্মী সেওগল, অনেকেই নাম লিখিয়েছিলেন স্বাধীনতার যুদ্ধে। এই দুই সাহসী, নির্ভীক যোদ্ধার কীর্তির কথা স্মরণ করে নিজের মেয়ের নাম রাখতে পারেন লক্ষ্মী।
ছেলেদের সঙ্গে কাঁধে কাধ মিলিয়ে ছিলেন মহিলারাও
প্রীতিলতা- বাংলার প্রথম শহিদ নারী, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। তাঁর সাহসিকতার সম্মানে নিজের রাজ্যকন্যার জন্য বেছে নিতে পারেন এই নামটি।
বীণা- ভারতের মহিলা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মধ্যে রয়েছে বীণা দাসের নামও। স্বামী যতীশ ভৌমিকের সঙ্গে তিনিও অস্ত্র হাতে যোগ দিয়েছিলেন বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ডে। ব্রিটিশ জেলে ৯ বছর সাজাও কেটেছিলেন। স্বাধীনতার পর কংগ্রেস কর্মী হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য হয়েছিলেন তিনি। এমন একজন মানুষের নামে আপনার কন্যা পরিচিতি পেলে মন্দ হবে না!