দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ আমাদের জীবনে চা এমন এক পানীয় যেটা না খেলে সকালটা ভালো হয় না। ব্যস্ত দিনের মাঝে কাজের ফাঁকে ফাঁকে শরীরকে চাঙ্গা রাখতে আমরা চা পান করে থাকি। অনেকে চায়ের স্বাদ ফেরাতে নানান ধরনের উপাদান মিশিয়ে থাকেন। তবে আপনি কি জানেন চায়ের সাথে এই বিশেষ উপাদান মেশালে নানান রোগ-জীবাণুকে এড়িয়ে চলা যাবে! আপনারা হয়তো ভাবছেন কি সেই বিশেষ উপাদান?
সকালের চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন এক চামচ খাঁটি মধু। এই প্রাকৃতিক উপাদানের গুণেই একাধিক রোগ থাকবে দূরে। আসলে চায়ে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এর সঙ্গে মধুর মিশ্রণ ঘটলে তার গুণমান আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। এদিকে মধুতে রয়েছে অত্যন্ত উপকারী কিছু খনিজ, ভিটামিন, অ্যামাইনো অ্যাসিডস এবং ফেনোলিক কম্পাউন্ড। এই সকল উপাদান একত্রে মিলে শরীরকে বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা করে। তাই আর দেরি না করে বরং মধু চায়ের গুণের দিকে নজর ফেরানো যাক।
১) ব্যাকটেরিয়াকে নাশ করতে পারে এই উপাদানঃ
মধুতে এমজিও নামক একটি উপাদান উপস্থিত রয়েছে। এই উপাদান কিন্তু ব্যাকটেরিয়া নাশে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে। এমনকী ঘাতক ড্রাগ রেজিস্টেন্ট ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধেও অত্যন্ত ভালো কাজ করে মধু চা। এছাড়া ত্বকের নানাবিধ সংক্রমণ ও স্কিন আলসার সারাতেও এর জুড়ি মেলা ভার।
২) প্রদাহ কমানোর ক্ষমতা রাখে মধু
আমাদের শরীরে প্রতিনিয়ত বিপাক ক্রিয়া চলছে। এর ফলেই দেহে তৈরি হচ্ছে নানা ধরনের ক্ষতিকারক পদার্থ। এই পদার্থগুলি সহজে দেহের বাইরে না বেরতে পারলে শরীরে প্রদাহ তৈরি হয়। তখন বিভিন্ন অঙ্গে ব্যথা, ফোলা সহ একাধিক সমস্যার উৎপত্তি হতে পারে। তবে জানলে অবাক হয়ে যাবেন, দিনে এক কাপ মধু চা খেতে পারলেই এই সমস্যার সহজ সমাধান করা সম্ভব। এতেই কমে যায় প্রদাহজনিত জটিলতা।
৩) সর্দি কাশির নিরাময় করে মধু
নিয়মিত মধু চা খেলেই সর্দি, কাশি ও জ্বরের মতো সমস্যা কমে যায়। তাই এখন থেকে এই সমস্যাগুলি থেকে নিস্তার পেতে মধু চায়ের উপর ভরসা রাখুন। হাতেনাতে ফল পাবেন।
৪) টনসিলাইটিসের ব্যথা কমাতে সক্ষম মধু
অনেক সময় টনসিল গ্ল্যান্ড ফুলে খুব ব্যথা হয়। খাবার খাওয়ার সময় বা ঢোক গিলতে গেলে যন্ত্রণা বাড়ে। তবে এই সমস্যার সমাধানেও কাজে আসতে পারে মধু চা। এই চা নিয়মিত খেলে গলা ব্যথা দ্রুত কমে যায়। কিছুটা সময়ের মধ্যেই মেলে আরাম।
৫) ইমিউনিটি বাড়াতে সক্ষম মধু চা
মধু চায়ে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার। তাই ইমিউনিটি বৃদ্ধির কাজে এর জুড়ি মেলা ভার। আর ইমিউনিটি শক্তিশালী হলে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ থেকে সহজেই রক্ষা পাওয়া যায়।