Life Style News

1 year ago

Fashion: ঠাকুরবাড়ির সাজকথা

Fashion of Thakurbari
Fashion of Thakurbari

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বাঙালির চিন্তনে, মননে ও ভাবনায় ঠাকুর বাড়ির অস্তিত্বকে অস্বীকার করা যায় না।সাহিত্য ,কলা, আদবকায়দা হোক বা রন্ধনকলা আজ ও বাঙালির বাহির মহল থেকে অন্দর মহল সর্বোত্রই ঠাকুর বাড়ির ছোঁয়া চোখে পড়ে।   

তবে কেবলমাত্র উপরে উল্লিখিত বিষয় গুলিই নয় , বাঙালির সাজ পোষাকে ও আভিজাত্যে ও পাশ্চাত্য ও দেশের মেলবন্ধনের দ্বারা ফ্যাশনে ও  যুগান্তর ঘটিয়েছিলেন ঠাকুর বাড়ির মহিলারা। ঠাকুর পরিবারের সদস্যরা যেমন সমসাময়িকদের থেকে অনেকটা এগিয়ে ছিলেন ঠিক তেমনই তাঁদের সাজপোশাকেও ছিল আধুনিকতা ও স্বাতন্ত্রের ছোঁয়া। আভিজাত্য, আরাম ও যুগোপযোগী এই তিন প্রাথমিক শর্তের আধারে তৈরী হত ঠাকুর পরিবারের পোশাক। শোনা যায় স্বয়ং দ্বারকানাথ নাকি পায়ের জুতোয় মুক্ত পরতেন। বাড়ির ছোট মেয়েদের পড়াতে মাস্টার আসত, তাঁর সামনে মেয়েরা শাড়ী পরে বসবে? এ ভারী অপছন্দের বিষয় ছিল দ্বারকানাথের। তাই তিনি মেয়েদের জন্য প্রথম ফ্রক ও যোধপুরি চোস্ত আনলেন। 

মহারাষ্ট্র থেকে  সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী জ্ঞানদানন্দিনী দেবী চল আনলেন শাড়ীতে মারাঠা কাজ এবং ব্রোচের। প্রকৃতপক্ষে হিন্দু, মুসলিম এবং বিলিতি তিন ধারার মেলবন্ধন হয়েছিল ঠাকুর বাড়ির ফ্যাশনে। বাঙালি মেয়েরা চিরকাল যেভাবে শাড়ী পরতেন তা একেবারে বদলে দিয়েছিলেন ঠাকুর বাড়ির মেয়েরা। মূলত আজ যে ভাবে কুঁচি করে প্লিট করে বাঙালি মেয়েরা শাড়ী পরেন তা ঠাকুর বাড়ির মেয়েদের দ্বারাই প্রচলিত। 

কেবল তাই নয় সাজপোশাকে দেশীয় পণ্য ব্যবহার করে পাশ্চাত্য ধ্যান ধারনার সাথে ও দেশীয় পণ্যের মিশেলে এক নিশব্দ বিপ্লব এনেছিলেন তাঁরা।

You might also like!