kolkata

2 months ago

Durga Puja : আগে থেকেই শুরু প্রকৃতির মাঝে পুজো দেখার আর্জি, মিলছে উত্তরও

Durga Puja (sumbolic picture)
Durga Puja (sumbolic picture)

 

কলকাতা, ২২ জুলাই : মাস দেড় বাদে দুর্গাপুজো। শহুরে ব্যস্ততা আর ঘিঞ্জি পরিবেশ থেকে সাময়িক মুক্তির আশা আর প্রকৃতির মাঝে পুজো দেখার আর্জি— সামাজিক মাধ্যমে খোঁজখবর করতে শুরু করেছেন আগ্রহীরা। মিলছে উত্তরও। আবেদন এসেছে, “এবার পুজোতে গ্রামের অনাড়ম্বর পুজো দেখতে চাই। এমন কোনো জায়গার সন্ধান চাই যেখানে অঞ্জলি দিতে পারবো, চাইলে পুজোর ভোগ খেতে পারবো। শান্তি ভাবে পুজো সন্ধি পুজো দেখতে পারবো। কাছাকাছি কোনো থাকার জায়গা থাকতে হবে, যেখানে রাতটুকু কাটানো যাবে পরিবার নিয়ে। পুজোতে যেকোনো দুদিন এমন ভাবে কাটানো যাবে এমন জায়গার সন্ধান কেউ দিলে ভালো হয়। কেউ যদি পশ্চিমবঙ্গের বাইরেও কোনো এমন পুজোর সন্ধান দিতে পারেন দেবেন”।

‘ভ্রমণবার্তা’ ফেসবুক গ্রুপে এই আবেদনের প্রেক্ষিতে অনেক উত্তর এসেছে। মিলেছে আঁতপুর রামকৃষ্ণ মিশন থেকে বেলুড় মঠ, নদীয়ার পায়রাডাঙ্গা থেকে জনাই ও বাকসা, দশঘড়া থেকে চকদিঘি, ভান্ডারহাটি থেকে টাকি, গরলগাছা থেকে নাড়াজোল, রাজবলহাট থেকে আটপুর— বিভিন্ন জায়গার নাম। গ্রামের পুজো দেখতে উল্লেখ করা হয়েছে হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনে পাণ্ডুয়া স্টেশনে নেমে থেকে বাস বা অটোয় মিনিট কুড়ি গেলে জামগ্রামে নন্দীবাড়ি। বনেদি বাড়ির পুজো। খাওয়ানো হয় সপ্তমী ও নবমীতে। তবে, সারাদিন পুজো আর সন্ধ্যারতি দেখে রাতে ফিরে আসতে হবে। আগে থেকে থাকার ঘর সংরক্ষণ করে রাখলে কামারপুকুরের পুজো। প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বোলপুরের পুজো দেখার। সোনাঝুড়িতে হোটেল উঠে পশ্চিম দিকে একটি দুর্গামন্ডপ হয়। আঙ্গিক, মন্ডপ অন‍্য রকমের। ভিড় বিরক্ত করবেনা। পূজো দিয়ে হোটেলে খাওয়ার সুযোগ থাকছে।

যেতে পারেন জেন্দুর গ্রামে। মা ক্ষেপীর পুজো দেখতে। রামপুরহাট এ থাকতে পারবেন। কাছেই তারাপীঠ। ১ কিমি র ভেতর টোটে নিয়ে তাও দেখতে পারবেন। জানা গিয়েছে পশ্চিম বর্ধমানে দুর্গাপুরের কাছে মা শ্যমরূপা গড়জঙ্গলের পুজোর কথাও। সুজয় কর্মকার লিখেছেন, “আমি গতবছর পুজোয় সপরিবারে শান্তিনিকেতনে ছিলাম, সত্যিই এক আলাদা অনুভূতি অনুভব করেছি। ওখানে সুরুতেশ্বর শিব মন্দিরের দুর্গা পূজা দারুণ লেগেছে, প্রতিদিন ভোগ প্রসাদও পাওয়া যায়”। শান্তনু সিনহা জানিয়েছেন, “শিলং যেতে পারেন ওখানেও বাঙালি এরিয়া আছে পাহাড়ের উপর শিলং ভিউ পয়েন্টের নিচে। খুব সুন্দর লাগবে। আমি গত বছর ঘুরে এসেছি”।

মৃণালকান্তি বালা জানিয়েছেন, ইন্দোর আসতে পারেন। বাঙালি ক্লাবের পূজোতে অঞ্জলি দিতে, ভোগ খেতে, মন-প্রাণ ভরে শান্তিতে সন্ধিপূজো দেখতে পারবেন। চাইলেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ও অংশগ্রহণ করতে পারবেন। থাকার জন্য রেলওয়ের রিটার্নিং রুম বা রেলওয়ে স্টেশনের গায়েই মহারানী রোডে হোটেল আছে। পার্থ ব্যানার্জী আবেদন করেছেন, “নিশ্চই কোনও একটা জায়গায় যাবেন সত্যি সত্যি l ওখানে যা যা অনারম্বর পুজো দেখলেন তার বর্ণনা ও ছবি বা ভিডিও অবশ্যই দেখাবেন কিন্তু l এটা আপনার সুন্দর একটা দায়িত্ব l আপনার দেখানো পথে আরও কিছু লোক গিয়ে শান্তি পেতে পারবেন|

You might also like!