kolkata

4 months ago

Lok Sabha Election: ভোট-কর্মীদের টিফিনে বাজিমাত করবে বিরিয়ানি! কম যায় না মাংস-ভাতও

Biryani will beat the voting workers in tiffin!
Biryani will beat the voting workers in tiffin!

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ দলীয় কর্মী ও এজেন্টদের জন্য ৫০০ প্যাকেট বিরিয়ানি অর্ডার করেছেন শিয়ালদহের তৃণমূল কাউন্সিলার মোনালিসা বন্দ্যোপাধ্যায়। পিছিয়ে নেই, বাগুইআটি এলাকার কংগ্রেস নেতা কাবু বাগুই। ৫০০ জনের জন্য জিরা রাইস, মুরগির ঝোলের বরাত দিয়েছেন তিনি। বরাহনগরের তৃণমূল কাউন্সিলার দিলীপ নারায়ণ বসু থেকে দমদমের কাউন্সিলার বাপি মিত্রও ৫০০ জন দলীয় কর্মীকে বিরিয়ানি খাওয়াবেন বলে ঠিক করেছেন।

এমনিতে ভোট-বাজারে কলকাতার তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ৩০-৩৫ ডিগ্রির আশপাশে। একটু হাঁটলেই সারা শরীর ঘামে ভিজে একসা। গরম থেকে বাঁচতে খাবারে তেল-মশলা এড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকেরা৷ গ্লুকোজ়-ওআরএস জলেই শরীর ঠান্ডা রাখার কথা বলছেন তাঁরা।

তবে কাল, শনিবার ভোটের সকালে কর্মীদের চাঙ্গা রাখার ‘টনিক’ হিসেবে মহানগরের অধিকাংশ ভোট ম্যানেজারই শক্তি-বর্ধক হিসেবে ভরসা রাখছেন জিভে জল আনা ‘রিচ’ খাবারে৷ পাটুলির তৃণমূল কাউন্সিলার বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত বলেন, ‘বিরিয়ানি খেলে অনেকক্ষণ পেট ভর্তি থাকবে৷ প্যাকেট বিলিতেও সুবিধে৷ আমাদের কর্মীরা বিরিয়ানি খেতেই বেশি পছন্দ করেন৷ তাই মেনুতে বিরিয়ানি।’

উত্তর থেকে দক্ষিণ, শহরের বিরিয়ানির দোকানগুলির বক্তব্যেই স্পষ্ট যে শনিবারের জন্য তাঁরা ভালোই অর্ডার পাচ্ছেন। মানিকতলার একটি রেস্তোরাঁর মালিক মহম্মদ আলির বক্তব্য, ‘তৃণমূলের তরফে ১৫০০ প্যাকেট চিকেন বিরিয়ানির অর্ডার পেয়েছি।’ যাদবপুরের একটি দোকানের মালিক সৌমিক ঘোষ পেয়েছেন ১৭০০ প্যাকেটের অর্ডার। কিন্তু ভ্যাপসা গরমে বিরিয়ানির ‘ধকল’ কর্মীরা নিতে পারবেন তো?

‘একদিন খেলে কি আর হবে’ — পালটা প্রশ্ন তৃণমূলের কাউন্সিলার শান্তিরঞ্জন কুণ্ডুর। দুপুরের খাবারে জনপ্রিয়তার লিস্টে বিরিয়ানির পরেই আছে মুরগির ঝোল-ভাত। কোথাও বা ডিম ভাত। পর্যাপ্ত গ্লুকোজ় জল পরিবেশনের ভারও দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি ক্যাটারার সংস্থাকে।

টালিগঞ্জ এলাকার সিপিএম নেতা চয়ন ভট্টাচার্য বলেন, ‘কর্মীরা যাতে সুস্থ থাকেন, সে জন্য দুপুরে রুটি, আলুর দম, মিষ্টি রেখেছি মেনুতে।’ সব মিলিয়ে ৮০০ জনের খাবারের ব্যবস্থা করেছেন চয়ন। পাশাপাশি বুথ এজেন্টদের জন্য জলের বোতল, লজেন্স, বিস্কুট, কেকের প্যাকেট পাঠাবেন বলে ঠিক করেছেন সিপিএমের অনেক নেতা।

দমদমের বাম-নেতা পলাশ দাসের কথায়, ‘লজেন্স মুখে থাকলে গরমের আঁচ থেকে কিছুটা রেহাই মিলবে৷ যাঁরা দীর্ঘক্ষণ বুথে বসবেন, তাঁদের একেঘেঁয়েমিও কিছুটা কাটবে৷’

You might also like!