দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ কলকাতায় এসে বার্ড ফ্লু আক্রান্ত হয় এক শিশু। প্রায় তিন মাস পর খবর এসেছে রাজ্যে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ওই শিশু অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা। কলকাতায় আসার পরই তার শরীরে বার্ড ফ্লু ভাইরাস বাসা বেঁধেছিল বলে সূত্রের খবর। এরপর আড়াই বছরের ওই শিশুকে নিয়ে কলকাতায় ফিরে যান তাঁর বাবা-মা। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রবল শ্বাসকষ্ট, জ্বর, পেটে ব্যাথার কারণে ওই শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশু।
প্রাথমিকভাবে রিপোর্ট অনুযায়ী, রোগীর বাড়িতে হাঁস-মুরগির ফার্ম ছিল। সম্ভবত সেখান থেকেই বার্ড ফ্লু (Bird Flue) ভাইরাসে আক্রান্ত হয় শিশুটি। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় শিশুটিকে হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভরতি করা হয়েছিল। প্রায় ৩ মাস ধরে চিকিৎসা চলার পর সুস্থ হয়ে ওঠে শিশুটি। যদিও শিশুটির পরিবারের বাকি কোনও সদস্যের মধ্যে অসুস্থতার কোনও লক্ষ্মণ দেখা যায়নি বলেই জানা গিয়েছে। তবে বিষয়টি যে যথেষ্ট উদ্বেগজনক তা অস্বীকার করছে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর ভারতে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার কোনও মানব শরীরে এইচ৯এন২ বার্ড ফ্লু ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা গেল। এর আগে ২০১৯ সালে এক ভারতীয়র শরীরে এই বার্ড ফ্লু ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা গিয়েছিল। প্রথমবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা দেশে। ৫ বছর পর ফের সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার বাড়ছে উদ্বেগ।
চলতি মাসেই বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে মেক্সিকোতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে, ৫৯ বছর বয়সি ওই ব্যক্তি গত এপ্রিলে জ্বরে আক্রান্ত হন। এর পর কিছু দিনের মধ্যেই ডায়েরিয়া, শ্বাসকষ্ট এবং বমিভাব দেখা দেয়। তিন সপ্তাহ গুরুতর অসুস্থ থাকার পরেই গত ২৪ এপ্রিলে মৃত্যু হয় বৃদ্ধের।