দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: আমরা নানা ধরনের রান্নায় কাঁচা কলা ব্যবহার করি, বিশেষ করে শুক্তো বা মাছের ঝোলে। কিন্তু আমরা কি জানি এই কাঁচা কলার কত খাদ্যগুন! চলুন,এক নজরে দেখে নেওয়া যাক -
১) কাঁচকলাতে ‘ফেনলিক’ নামক রাসায়নিকের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। এই ‘ফাইটোকেমিক্যাল’টি পাকস্থলী এবং ক্ষুদ্রান্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে।
২) অনিয়ন্ত্রিত হৃদ্স্পন্দনের সমস্যা থাকলে, পরিমিত পরিমাণে কাঁচকলা খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। কারণ, কাঁচকলায় পটাশিয়ামের মাত্রা অনেকটাই বেশি। এই উপাদানটি হৃদ্যন্ত্রের পেশি সচল রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে।
৩) কাঁচকলায় রয়েছে ‘পেকটিন’ এবং স্টার্চ। কাঁচকলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের মান ৩০। খাওয়ার পরে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা রুখে দিতে পারে কাঁচকলা।
৪) অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর কাঁচকলা ফ্রি র্যাডিক্যাল্স এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেসজনিত ক্ষতির হাত থেকে কোষগুলিকে সুরক্ষিত রাখে। ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন এবং জ়িজ়ানথিন সহ লুটেইন নামক ফাইটোনিউট্রিয়েন্টগুলি প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
৫) কাঁচকলায় রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন সি, বি ৬, এ, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন এবং জ়িঙ্কের মতো জরুরি কিছু উপাদান। নিয়মিত কাঁচকলা খেলে রক্তে লোহিত কণিকার পরিমাণও বাড়ে।
তাই প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে ২/৩ দিন খাদ্যে কাঁচা কলা রাখুন।