দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ চিনির থেকে গুড় যে হাজারো দিক থেকে ভাল এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আর গুড়ের রয়েছে একাধিক উপকারিতা। শীতের রাতে গরম গরম রুটির সঙ্গে খেজুর গুড় দারুণ লাগে। আর গুড়-নারকেলে পাক করা পুর পিঠের মধ্যে দিলে তার স্বাদও হয় অনবদ্য। এবার শীতের কড়া চায়ে চিনির পরিবর্তে গুড় মেশান। স্বাদে হবে লা-জবাল। সেই সঙ্গে বাড়বে উপকারিতাও। আজকাল বাজারে সারা বছর জাগেরি পাউডার পাওয়া যায়। খেজুর গুড় পাওয়া যায় এই শীতের কয়েকটা দিনই।
গুড়ের মধ্যে থাকে ভিটামিন এ, বি, ফসফরাস, আয়রন, সুক্রোজ, ভিটামিন, খনিজ। এছাড়াও গুড়ের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিও। যা শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। আর তাই শীতের দিনে একটু করে গুড় রোজ খেতে পারলে যেমন ভাল তেমনই চায়ের মধ্যে গুড় মিশিয়ে খান। খেতে লাগবে খুবই ভাল।
*গুড় হল প্রাকৃতিক মিষ্টি এবং তা চিনির বিকল্প হিসেবে কাজ করে। খেজুর রস বা আখের রস থেকেই তৈরি করা হয় গুড়। এই গুড়ের মধ্যে থাকে প্রয়োজনীয় খনিজ, ভিটামিন থাকে আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন। আর যে কারণে তা শরীরের জন্যেও খুব ভাল।
*গুড় হজমের সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে। একই সঙ্গে যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তারাও খেতে পারে এই গুড় চা। খাওয়ার পর তা যাতে দ্রুত হজম হয় তার জন্য একটু করে গুড় চা খেতে পারেন।
*গুড়ের মধ্যে খনিজ আর ভিটামিন থাকে যা শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে শরীর ভিতর থেকে সুস্থ রাখে।
*শীতকালে চায়ে একটু গুড়, আদা, গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারলে সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়। যাঁদের ঠান্ডা লাগলেই অ্যালার্জির সমস্যা বাড়ে তাঁদের জন্যেও এই গুড় চা খুবই ভাল।
*শ্বাসযন্ত্রের জন্যেও উপকারী হল এই গুড় চা। সর্দি-কাশি থেকে দূরে থাকতে চাইলে রোজ একবার করে খান এই গুড় চা।
* গুড়ের মধ্যে আয়রনের পরিমাণ থাকে অনেক বেশি। একই সঙ্গে তা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতেও সাহায্য করে। আর গুড় খেলে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। লোহিত রক্তকণিকা ফুসফুস থেকে সহজেই অক্সিজেন বহনে সক্ষম হয়।