Health

13 hours ago

Apple-Guava Benefits: খাদ্যতালিকায় আপেল নাকি পেয়ারা? কোন ফল অধিক কার্যকরী? জেনে নিন!

Apple-Guava (Symbolic picture)
Apple-Guava (Symbolic picture)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: ফল মানব স্বাস্থ্যের জন্য সর্বদাই উপকারী। শরীরে পুষ্টির অন্যতম উৎস ফল। সুষম খ্যাদের মধ্যেও পড়ে ফল। শরীরে কর্ম ক্ষমতা বাড়ায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়,পাশাপাশি ফল আপনার স্বাস্থ্যেকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ। 

 আপেল-পেয়ারা দুটোই আমাদের কাছে বেশ পরিচিত ফল। ফলের মধ্যে স্বাদেও সুস্বাদু  আপেল-পেয়ারা। তবে আপেলের দাম পেয়ারার থেকে অনেকটাই বেশি। জেনে নিন এই দুই ফলের পুষ্টিগুণঃ 

* ভিটামিন সি-র গুণ- ব্যতিক্রমী ভিটামিন সি-র উপস্থিতির জন্য পেয়ারা বিখ্যাত। দৈনিক যতটা করে ভিটামিন সি-র প্রয়োজন একটি পেয়ারা তার চেয়ে ২০০ শতাংশেরও বেশি সরবরাহ করে। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য চ্যাম্পিয়ন। অন্যদিকে, একটি মাঝারি আকারের আপেলে যতটা ভিটামিন সি থাকে তা দৈনিক সুপারিশকৃত ভিটামিন সি-র মাত্র ১৪ শতাংশ।

* ফাইবারের সমৃদ্ধ- হজম স্বাস্থ্যের জন্য ফাইবার অত্যন্ত উপকারী এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও এটি বেশ সাহায্য করে। আপেল ফাইবারে সমৃদ্ধ। একটি মাঝারি মাপের আপেলে প্রায় ৪ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার (বিশেষ করে পেকটিন) থাকে। পেয়ারাতেও ফাইবার থাকে, কিন্তু সামান্য কম। ফল প্রতি প্রায় ৩ গ্রাম। পেয়ারা দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ধরনের ফাইবার সরবরাহ করে।

* ক্যালোরির উপস্থিতি-  উভয় ফলেই ক্যালোরির পরিমাণ বেশ কম। একটি মাঝারি আপেলে প্রায় ৯৫ ক্যালোরি থাকে, যখন একটি মাঝারি আকারের পেয়ারায় প্রায় ৬৮ ক্যালোরি থাকে। ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য দুই ফলই উপকারী।

* প্রোটিনের প্রভাব- ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টের পরিপ্রেক্ষিতে, পেয়ারায় আপেলের চেয়ে বেশি প্রোটিন থাকে। ফল প্রতি পেয়ারার প্রোটিনের পরিমাণ ২.৬ গ্রাম এবং আপেলের ১ গ্রামের কম। প্রোটিন পেশী মেরামত, শক্তি সরবরাহ এবং সামগ্রিক শারীরিক ক্রিয়াকলাপে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

* উভয়ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ- পেয়ারা হলো লাইকোপিন এবং কোয়ারসেটিন সহ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সবচেয়ে শক্তিশালী উৎসগুলির মধ্যে একটি, যা ফ্রি র‍্যাডিকালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে, প্রদাহ কমাতে এবং ক্যানসার ও হৃদরোগের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। গোলাপি শাঁসের পেয়ারায় উপস্থিত উচ্চমাত্রায় লাইকোপিন প্রস্টেট এবং ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে উপযোগী।আপেলও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। কোয়ারসেটিন এবং ক্যাটেচিনের মতো ফ্ল্যাভোনয়েড সমৃদ্ধ আপেল প্রদাহ বিরোধী এবং হার্টের ঝুঁকি কমাতে সিদ্ধহস্ত। সুতরাং, আপনি দুটো ফলই খেতে পারেন।


You might also like!